লালন বলে, এবার টাকা দিতে হবে কিন্তু । টাকা ? জীবন আর শঙ্কর মুখ চাওয়া চাওয়ি করে।
- কত টাকা ?
- বনানীদি যা পান। অনেক পয়সা খরচ করে গান শিখেছি। এবার কিছু উসুল করবই।
কেশব ভাবে, ব্যাপারটা কিরকম হয় ? গানের জন্য নয়, টাকার জন্য ? ওরকম বিশ্রী কঠিন একটা রোগ থেকে আরোগ্য লাভের চেয়ে টাকাটা বড় হল ললনার কাছে । চিন্তাটা এমন পীড়ন করে তাকে যে, সুযোগের অপেক্ষায় না। থেকে ললনার কাছে গিয়ে বলে, আবার গান আরম্ভ করলেন নাকি ? অসুখটা সেরে যাচ্ছিল লালন একটু হাসে ।
- গান না। গাইলে আমার চলে না। সব শূন্য মনে হয়।
কেশব ধাধায় পড়ে যায় । তাহলে গানের জন্যই ? টাকার খাতিরে নয় ? তার মুখের ভাব দেখে ললনা বলে, তাছাড়া ভেবে দেখলাম, ঠিক গানের জন্যই তো অসুখ নয়। আমার । কারণ হল আমার নার্ভাস উইকনেস, একটু যদি সামলে চলি, মনটাকে শক্ত রাখি, গানের জন্য কেন অসুখ হবে ? এতলোক গান গায় তাদের হয় না, আমার কেন হবে ? অনিয়ম বাদ দিয়ে, ভাল ফুড আর টনিক খাব ললনা আবার একটু হাসে । তাছাড়া, এবার শুধু ভাবের জন্য নয়, টাকার জন্য গাইব সেরকম ষ্ট্রেইন আর হবে না। তবু যদি ভুগতে হয়, ভুগিব ! SN)