পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'\రిy অষিাঢ় ১২৮২ | } অবলম্বন করিলে উল্লিখিত প্রকার ভাবী হঃখের অত্যন্ত নিবৃত্তি হইতে পারে। চার্ব্বাকের ভিন্নপ্রকার উপায় অবলম্বন করি য়াছেন বলিয়াই উহাদের সহিত অন্যান্য | দর্শনের এতদূর মতভেদ হইয়াছে। ফলতঃ | চার্ব্বাক প্রভৃতি কতিপয় প্রকারের দার্শনিকের বর্তমান দুঃখ নিবৃত্তিই পুরুষার্থ | বলিয়া গ্রহণ করিয়াছেন । ধনসম্পত্তি প্রভৃতি লৌকিক উপায় দ্বারা উক্ত দুঃখের | অত্যন্ত নিবৃত্তি হইবার সম্ভাবন নাই। ধনাদি লৌকিক উপায় দ্বারা আপাততঃ | দুঃখনিবৃত্তি হইতে পারে ইহা যথার্থ বটে, কিন্তু ধনাদি অবিনশ্বর পদার্থনহে ; ধনা দির ক্ষয় হইলেই পুনর্ব্বার অনিবার্য্যরূপে দুঃখের উদ্ভব হইয়া থাকে। যাগযজ্ঞাদি পুণ্যকর্ম্ম দ্বারাও দুঃখের অত্যন্ত নিবৃত্তি | হইতে পারে না। কারণ যাগযজ্ঞাদিকার্য্যে জীবহত্যাদির বিধান আছে বলিয়া উহ। কোনপ্রকারেই দোষসংস্পৰ্শশুন্য বলিতে পারা যায় না। আবার এতাদৃশ পুণ্যচরণ দ্বারা যে স্বৰ্গভোগ প্রভৃতি সুখের অধিকারী হইতে পারা যায় তাহাও বিনশ্বর ; সুতরাং এই প্রকার ক্ষণপ্রভাচকিতবৎ সুখ ভোগকখনই পরমপুরুষার্থ হইতেপারে না কেহ কেহ এই বলিয়া আপত্তি করেন যে ভবিষ্যং দুঃখ নিবারণের জন্য চেষ্টা করিবার কিছুমাত্র প্রয়োজন নাই, কারণ ভাবী দুঃখ অনাগত, সকলকেই যে উহা ভোগ | করিতে হইবে এরূপ কিছুই স্থিরনিশ্চয় নাই। অনাগত দুঃখ একবারে না আসি লও না আসিতে পারে,আর আসিবার ল. -ял-“ হঃখনিবৃত্তি ও প্রকৃত মুখের সম্ভাবনা | স্তাবনা থাকিলেও দেহত্যাগ প্রভৃতি কারণ বশতঃ উহা ভোগ করিতে হয় না এরূপ } হওয়াও অসম্ভব নহে। কিন্তু সাংখ্যের । এই বলিয়। আপত্তির খণ্ডন করিয়া থাকেন | যে, যদিও অনাগত দুঃখ একবারে না আসিতেও পারে বটে, কিন্তু মঙ্গুষ্যের অন্তঃকরণে डेशहजै ছ। প্রতি মুহুর্তেই সমভাবে জগন্ধক থাকে। অতএব ঐ ভবিষ্যৎ দুঃখের আশঙ্কাকে একবারে অস্তু } রিত করিতে নু পারিলে কোন রূপেই নাই। এক্ষণে প্রতিপন্ন হইতেছে যে } ত্রিবিধ দুঃখের অত্যন্ত নিবৃত্তি পূর্ব্বক মুক্তির পথ অনুসন্ধান করিতে হইলে ! তত্ত্বজ্ঞানের আশ্রয় গ্রহণ করিতে হইবে। তত্ত্বজ্ঞানই ছ:থাত্যস্তনিবৃত্তির একমাত্র কারণ। জ্ঞান ও বুদ্ধির আধার আত্মা | এবং জড় জগৎ এই উভয়ের পৃথকৃত্ব জ্ঞান হইলেই তত্ত্বজ্ঞানের উদয় হয়। প্রকৃতি পুরুষ অপরাপর তত্ত্বের প্রকৃতি জ্ঞান জন্মিলে বিলেকজান উপস্থিত হয়। এই বিবেক জ্ঞানই মুক্তির একমাত্র উপায়। ইহা দ্বারাই আত্মার বন্ধন মোক্ষ ইষ্টয়া থাকে। বিবেক জ্ঞানের সাক্ষাৎ উপায় প্রমাণ। যদ্দার প্রকৃত ভ্রান্তি | বিরহিত জ্ঞান জন্মে তাহার নাম প্রমাণ । প্রমাণ তিন প্রকার প্রত্যক্ষ, অনুমান ও | শব্দ । ইন্দ্রিয়জম্য জ্ঞানের সাধারণ নাম | প্রত্যক্ষ । সুতরাং ইন্দ্রিয়সন্নিকৃষ্ট পদার্থেরই | প্রত্যক্ষ হইয় থাকে। যোগীদিগের অবাহা | পদার্থেরও অলৌকিক গ্রকরে প্রত্যক্ষ