পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ ১২৮২ ৷ জন ষ্টয়ার্ট মিলের জীবনবৃত্ত। ১৬৫ ৷

তত

উন্নতির আশা নাই । পূর্কের মত ধর্ম্ম, নীতি ও রাজনীতি প্রভৃতি মুশিক্ষিত দলের নিকট আদৃত হয় | না ; সুতরাং মুশিক্ষিত মনের উপর সেই সকল মতের কার্য্যকারিতাশক্তি অনেক পরিমাণে তিরোহিত হইয়াছে; কিন্তু { জনসাধারণের নিকট সেই সকল মতের এখনও এতদূর তেজস্বিতা আছে যে | তাহাদিগের পরিবর্তে নুতন ও উৎকৃষ্ট | স্তর মত পরিস্থাপিত করা বড় সহজ | ব্যাপার নহে। যখন পৃথিবীর দার্শনি| কেয়া ইহার প্রচলিত ধর্ম্মে বিশ্বাল স্থাপন { করিতে অসমর্থ হন, তখন এক প্রকার | হইয়াছে, সে মানসিক দুর্ব্বলতা নিরা কৃত না হইতে পারে । স্বাধীন বাণিজ্য প্রচারিত হইবার পূর্ব্বে ইংরাজজাতি | অর্থনীতিশাস্ত্রে যেরূপ অপরিপক্ক ও অদূ রদর্শী ছিলেন এখনও সেইরূপ আছেন । এখনও তাহারা গুরুতর বিষয়সকলে ভ্রমের হস্ত হইতে সম্পূর্ণরূপে মুক্ত হইতে | পারেন নাই । গভীরতর চিন্তা ও বিশুদ্ধ७द्र श्लब्रङांव ऊँीशनिप्शद्र अरुद्र श्रउ এখনও দূরসমাকৃষ্ট। তাছারা কোন কোন বিষয়ে ভ্রমের হস্ত হইতে মুক্ত হইয়াছেন বটে ; কিন্তু তাহাদিগের বুদ্ধিবৃত্তি ও নীতিপ্রবৃত্তি এখনও অপরিবর্তিত রহিয়াছে। মিলের দৃঢ় প্রতীতি জন্মিয়াছিল, যে যত দিন না মানব-চিন্তাপ্রণালীতে সম্পূর্ণ পরিবর্তন সংঘটিত হইতেছে, দিন মানবসমাজের বিশেষ এখন আর বিষয়ে পুরাতন মত সকল সামাজিক বিপ্লবকাল উপস্থিত হয়। এই কালে লোকের প্রতীতি ক্ষীণ, বুদ্ধিবৃত্তি কা. র্য্যাক্ষম ও বিবেকশক্তি শিথিল হইয়া পড়ে। যত দিন ন! আবার মানবমনে একটী নুতন (মানবই হউক বা ঐশ্বরিকই হউক) ধর্ম্মে বিশ্বাস সংস্থাপিত হয়,তত দিন এই বিষয় ভিন্ন অন্য বিষয়ে যত কেন লেখ না, যত কেন ভাব না, তাহাতে মানবজাতির সাময়িক বই চিরস্থায়ী উপকারের সম্ভাবনা নাই। মানবমনের বাহ অবস্থায় এরূপ গুরুতর বিষয়ে সম্পূর্ণঔদাসীন্য দেখিয়া,মিল্ল মানব জাতির ভাবী উন্নতি বিষয়ে কথঞ্চিৎ হতাশ হইয়া পড়িয়াছিলেন । কিন্তু আজ কাল স্বাধীন চিন্তার স্রোত কিঞ্চিৎ প্রবল হওয়াতে, ইংলণ্ডের ভাবী মানসিক উন্নতিবিষয়ে মিলের মনে কিঞ্চিৎ পরিমাণে আশার সঞ্চার হইল। । এই সময়ে মিলের পারিবারিক জীবনে কয়েকটী মহতী ঘটনা সংঘটিত হয় । ] তন্মধ্যে ১৮৫১ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে বিধবা টেলরপত্নীর সহিত র্তাহার পরি. ণয় সর্ব্বপ্রধান। মিল যদিও এই অপূৰ্ব রমণীর সহিত জীবনের কোন जभtग्न दिवांश्वकप्न वक्र श्ट्रेऊ ७कांख् ইচ্ছুক ছিলেন, তথাপি তাহারা উভয়েই টেলরের অকালমৃত্যুরূপ মূল্যে এ মুখ ক্রয় করিতে কখন প্রস্তুত ছিলেন না। কারণ টেলরের প্রতি তাহার প্রগাঢ় । ভক্তি ও তদীয় পত্নীর গভীর অনুরাগ ছিল। যাহা হউক ১৮৪৯ খৃষ্টাব্দের জু লাই মাসে উক্ত শোচনীয় ঘটনা সংঘ- ।