পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

or-o হৃদয় ভাবের অভিনয়ই নাটকাভিনয়ের প্রধানতম অঙ্গ। মানবহৃদয়ের বিশাল রঙ্গ ভূমির অভিনয় প্রদর্শন করাই নাটকের সুপ্রধান উদ্দেশ্য। নাটকীয় ঘটনাবলিদ্বারা মানবহৃদয়ে ক্ষণে ক্ষণে যে নানা বিধ ভাবের অভু্যদয়ও ব্যতিক্রম ঘটি তেছে, নাটকীয় ব্যক্তিগণ ভাবের আবেগ দ্বারা যেরূপ অভিভূত, বিচলিত অথবা প্রণোদিত হইতেছে ; কখন শোক তাপ, কখন হর্ষ উৎফুল্লতা, কথন রাগদ্বেষ, কখন দৰ্প অভিমান প্রভৃতি ভাবের আবেশ দ্বারা মানবহৃদয় হয়ত একেধালে মুহ্যমান হইয়া আছে, না হয় উদ্বোধিত এবং প্রমত্ত হইতেছে ; এই সমস্ত ভাবের আবেশ প্রকৃতরূপে প্রকটন করা ভাবা ভিনয়ের বিষয়। এক্ষণে এই ভাবাভিনয়ের প্রকৃতি ও অনুষ্ঠানাদির পর্য্যা লোচনা করা যাইতেছে। মানব যে প্রকার অবস্থায় পতিত হয়েন তাহার হৃদয়ে সেই সমস্ত ভাবের আবির্ভাব হয়.। ভাবের প্রাবল্য ও উদ্বেগ | অনুসারে হৃদয়ে অধিক বা অল্প কাল স্থায়ী হয়। এই নিয়ম শুধু মানবসাধারণ নয় { ইছাত্রাণীমাত্রেই অবলক্ষিত হয়। হর্ষ, | বিষাদ, ভয়, সাহস প্রভৃতি ভাববেগ মান ७१ কাৰ্বিক 5*Ե-Հ - নাটকাভিনয় | २४-१ | নাটকাভিনয়। ( જેનાના পর । ) বিষাদে রাগে, ঘৃণায়, উৎসাহে, হিংসায় বের যেমন, নিকৃষ্ট প্রাণীগণের ও তেমনি। এই সমস্ত ভাব প্রকটনের পদ্ধতি সর্ব্ব জাতিতে সমান। পণ্ডিতবর ডারউইন সাহেব প্রতিপন্ন করিয়াছেন যে যাবতীয় প্রাণীগণ একরূপেই ভাব প্রকটন করিয়া থাকে। এজন্য তিনি সেদিন একখানি স্বতন্ত্র গ্রন্থ প্রকাশ করিয়াছেন। সেই গ্রন্থে তিনি প্রদর্শন করিয়াছেন যে সর্ব্বোচ্চ মানব জাতিতে যে প্রকারে অস্বস্থচনা ও মুখভঙ্গি দ্বারা হৃদয়স্থ ভাব সমূহ স্বতঃই প্রকটিত হয়, নিকৃষ্ট প্রাণীগণেও তদ্রুপ। হর্ষে, মানবের মুখে, চক্ষে, এবং সমগ্র অঙ্গ ভঙ্গিতে যে ভাব প্রকটত দেখিবে, ইতর প্রাণীতেও সেই ভাব অবলক্ষিত হয়। ইতর প্রাণীগণও ঐ সমস্ত ভাবে উদ্বোধিত ও উত্তেজিত হয় এবং তাহারাও একই প্রকার অঙ্গ স্বচনা দ্বারা সে সমস্ত ভাব প্রকাশ কুরিয়া থাকে। হর্যে মানবমুখের যে প্রকার বিস্ফারণ হয়, শোকে তাহা যেরূপ মান হষ্টয়া যায়, ত্রাশে তাহার শিরা गरुश cषभन नझ फ़िउ इहेब्र, बांब्र, हेख्द्र প্রাণীগণের মুখেও তদবস্থায় সেই সমস্ত ভাবেরই প্রকটন ,বাস্তবিক রাবতীয় ঘ" প্রকটনের পদ্ধতি একই।