পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৭৮

H আ গ্রহায়ণ ১৯৮২ | -- \ কবিত্ব ও কাব্য সমালোচনা। ○○め এবং এই বাক্যেই জীবন ও ক্রিয়া সকলি । প্রদান করিতে হয় । বাক্যের এই সকল গুণ স্বয়ং কবি ভিন্ন অপরের বুঝা বড় সহজ কথা নয়। কলার সহিত সৌন্দর্ঘ্যের বিশেষ সম্বন্ধ সংস্থাপিত আছে। কলার যে পরিমাণে উৎকর্ষ, সৌন্দর্য ও সেই পরিমাণে দুৰ্বি পাইয় থাকে। কালীদহের নীল জলরাশির উপর, ভ্রমর গুঞ্জরিত, বিক ষোড়শী রূপসী, দুষ্ট হস্তে দুইটি করি ধারণ করিয়া একবার গ্রাস ও একবার উদগীরণ করিতেছে। এই একটি মনোহর সৌন্দর্য ভাব। জড়মূর্ত্তি কাব্য-কলা ইহাকে প্রকাশ করিবার সময়, যদি জলরাশির বর্ণ এমন ভাবে ফলান, যে উহাকে গভীর জল বোধ না হয়, যদি গুঞ্জরিত ভ্রমর সকলকে মধুপানোন্মত্ত জীবন্ত ভ্রমর বলিয়া বোধ না হয়, খদি কোমলাঙ্গীকে কঠিনাঙ্গী বলিরা বোধ হয়; যদি ষোড়শীকে, বর্ষীয়সী বলিয়া বোধ হয়,তাহা ইষ্টলে এখানে কলার অপটুতার, সৌন্দর্য ভ্রংশ হইয়া যাইতেছে। এই জন্য কাবাকারের কলায় পারদর্শিতা লাভ করা বিশেষ প্রয়োজন। জড়মূর্ত্তি কাব্যকলার অধিকার অতি অল্প; ইহা সৌন্দর্ঘ্যের গঠন, বর্ণ ও জীবন্ত ভার পর্যন্ত প্রকাশ করিতে পারে, কিন্তু ক্রিয়ার গতি দেখাইতে পারে না। উপরোক্ত | কমলেকামিনী মূর্ত্তিতে আমরা হস্তঞ্জত করিকে ঘৃত মাত্র দেখিব, গ্রাস ও উদগী: প্রকাশ করিতে পারে না। একটি তক্ষণ বা চিত্র মূর্ত্তি, করতল বিন্যস্ত কপোল, বিষঃ শিত কমল কামনে, পদ্মাসনা, কোমলাঙ্গী, যথা, তক্ষণ, গঠন, এবং চিত্র । ধাতু, | রণ ক্রিয়া দেখিতে পাইব না। বিজ্ঞানের কৌশল বলে কথঞ্চিৎ তাহ দেখিবারও সম্ভাবনা, কিন্তু তক্ষণী বা তুলিকার তাহ সাপ্য নয়। জড়মূর্ত্তি কাব্যে সৌন্দর্ঘ্যের এককালে একটি ভাবের মাত্র অবতারণ ইষ্টতে পারে, কিন্তু উক্ত ভাবের কারণ কিছু প্রকাশ করিতে পারে না, বিষয়ও ভাবে বসিয়া আছে, আমাদের মন তাহার বিষয় ভাবে আকৃষ্ট হইল, কিন্তু সেই বিষঃ ভাবের কারণ কি, তাহার বিষয় কি জানিবার নিমিত্ত কৌতুহল উদ্দীপ্ত হইল ; কিন্তু সে কৌতুষ্টল নিবৃত্তি করিবার উক্ত মূর্তির সাপ্য নাই ; তাহার অধিকার সেই পর্যন্ত। যে বস্তু যে পরিমাণে আকাঙক্ষী-তৃপ্তিকর, তাহার সেই পরিমাণে উৎকৰ্ষ স্বীকার করিব। এতদনুসারে আমরা জড়মূর্ত্তি কাবাকে সমস্ত কাব্যরাজ্যের চরম উৎকর্ষের তুলনায় নিম্ন পদবী প্রদান করিতে পারি। জড়মূর্ত্তি কাব্য, তাহার আপন অধিকার মধ্যেই চরম উৎকর্ষ লাভ করিতে পারে। সমস্ত কাব্যরাজ্যের মধ্যে সে পূর্ণ আকাঙক্ষা তৃপ্তিকর নয়। জড়মূর্তি কাবা সকলকে আমরা সাধারণতঃ তিন ভাগে বিভক্ত করিতে পারি। প্রস্তর এবং কাষ্ঠাদি কঠিন পদার্থকে খুদিয়৷ যে সৌন্দর্য্য মূর্ত্তি প্রকাশ পায়, তাহাই তক্ষণ । তক্ষণে কেবল গঠনো E--- تت--- تتذ བམཐབས་་་་།།།།──────བ་ -