পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মগ্রহায়ণ ১২৮২। বিদ্যুৎ, বজ ও বিদ্যুদণ্ড । ©ማ6 নিকটে না থাকে। আর বাটীর বহির্ভাগে অধিক ধাতব পদার্থ থাকিলে তাহার সহিত দণ্ডের বিশেষ সংযোগ আবশ্যক। তাহান হক্টলে সেই সকল স্থলে তড়িতের আধিক্য *Re: Tosafoto (Lateral discharges) হুইবার সম্ভাবনা। আমাদের দেশে বিছাতের সময় ঘটি বাটী প্রভৃতি ঘরে তুলিবার যে রীতি আছে তাহার কারণ এই । আমাদের পূর্ব্ব পুরুষেরা যে এ সকল তত্ত্ব অবগত ছিলেন এতদ্বারা ইহাও প্রমাণ হইতেছে । এষ্টরূপে বিদ্যুদণ্ড নির্ম্মিত হইলে আর কোন আপত্তি থাকে না । বাটার উপরিভাগে তড়িৎ জমিতে পারে না। সমস্ত তড়িৎ, দণ্ডের সূক্ষ্মাগ্র দিয়া বিকীর্ণ হইয়া যায়। আর যদিই তড়িৎ-প্রবাহ এত অধিক হয় যে সে সমস্ত ঐ দণ্ড দিয়া বিকীর্ণ হইতে পারে না, আর যদিই সেই কারণে বিদ্যুfদুৎপত্তি অনিবার্য্য হয়,তথাপি বাটী নিরাপদ রহিবে, তড়িৎ, দণ্ডের ভি. তর দিয়া প্রবাহিত হইবে। প্রচলিত প্রণালীতে এত দোষ সত্ত্বেও কেন যে উহা এত আদৃত, তাহ বলা যায় না। এই দোষ যে সকলে অবগত নহেন, ভারতের মুখশশী যবন-কবলে বিরচিত। কলিকাতা কাব্যপ্রকাশ যন্ত্রে মূল্য এক টাকা মাত্র। তাহাও বলা যায় না। অনেকে জানিয়াও অভ্যাসের প্রভাবেই হউক, আর যে জনাই হউক, দোষ নিরাকরণের চেষ্টা করেন না। অনেকে হয়ত বিদ্যুৎ-যাহা । অশেষ অনর্থের মূল—সর্ব্বথা পরিহর্তব্য, তাবিয়া বিদ্যুতের গতির জন্য পথ রাখিয়া তাহা হইতে বাটী বিচ্ছিন্ন রাপাই ভাল এরূপ মনে করেন । কিন্তু ইহা ভ্রম তাহা পূর্বেই বলা হইয়াছে। ফলতঃ এ দোষা বহ রীতি পরিত্যাগ করাই ভাল। ইহা যে দোষাবহ ইহার অকার্য্য-করতাই তাহার প্রমাণ। প্রচলিত রীতিতে নির্ম্মিত বিদ্যুদণ্ড সত্ত্বেও বাৰ্টী বজাঘাতে বিখণ্ডিত হইতে দেখা গিয়াছে। উপসংহার কালে ইহা বলা উচিত যে কতিপয় বিখ্যাত ফরাসী বৈজ্ঞানিকের অনুবর্তন করিয়াই আমরা এই প্রচলিত রীতির বিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হইতে সাহসী হইয়াছি। এবং বিজ্ঞান বিষয়ে যে জাতি সর্ব্বোচ্চ সে জাতির মধ্যে প্রতিভাশালী বিজ্ঞান-বিশারদ ব্যক্তিদিগের মত যে বিশেষ আস্থাজনক ইহাও বোধ হয় কাহাকেও বুঝাইতে হইবে না। কত শত প্রাপ্ত গ্রন্থের সংক্ষিপ্ত সমালোচন | ভারত-বিজয় ।-দৃশ্যকাব্য। প্রথ নাটক। শ্রীনবীনচন্দ্র বিদ্যারত্ন কর্তৃক | মাংশ। এঁরাজেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী প্রণীত । গুপ্তপ্লেসে মুদ্রিত। মূল্য দ• আনা শ্রীব্রহ্মব্রত সামাধ্যারি কর্তৃক মুদ্রিত। মাত্র । , আমরা এই দুই খানি পুস্তকের একত্র