পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

க_ ੋਡ਼ 8 ob" আর্য্যদর্শন । পৌষ ১২৮২ ৷ নাই ; আর যাহা আছে তাহাও মাটর উপর দিয়া কোন মতে আঁচড়াইয়া যায় মাত্র। গভীর চাসের অভাবে শস্য অপেক্ষাকৃত অল্প জন্মে। এই গভীর চাস সম্বন্ধে অনেকের অনিষ্টকর সংস্কার রহিয়াছে । কিন্তু সেই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে একটী প্রবাদ প্রচ. লিত আছে। কথিত আছে চারিট পুত্র রাখিয়া এক কৃষকের মৃত্যু হয়। কৃষক মৃত্যু কালে পুত্রদের জন্য কোন সম্পত্তি রাখিয়া যাইতে পারিল না, কিন্তু বলিয়া গেল যে আমি এক দিন একটা রত্ন পাইয়াছিলাম, তাহা অমুক ক্ষেত্রে পুতিয়া রাখিয়াছি । তাহ বিক্রয় করিয়া তোমরা চারি ভ্রাতায় ভাগ করিয়া নিবে । পিতার মৃত্যুর পর পুত্রের রত্ন লাভের আশায় আগ্রহ সহকারে ভূমি খনন করিতে লাগিল । ক্ষেত্রখনন শেষ হইয়া গেল, কিন্তু কোথাও রত্ন মিলিল না। হতাশ হইয়। অবশেষে কৃষকপুত্রের ঐ ক্ষেত্রে বীজ-বপন করিল, এবং তাহাতে এবৎসর অনেক শস্য জন্মিল । পরিশ্রম সহকারে ভূমি কর্ষণ করিয়া যে প্রচুর শস্য জন্মিল, কৃষক-পুত্রেরা তাহাই পিতৃদত্ত রত্ন বলিয়া বুঝিতে পারিল, এবং প্রতি বৎসর এইরূপে বিস্তর শস্য উৎপাদন করিয়া সুখ সম্ভোগে কাল যাপন করিতে লাগিল। এই উপাখ্যানটীর প্রতি ঘটনায় সত্য নিহিত রক্রিয়াছে। | পৃথিবী যথার্থই রন্ধগম্ভ1; উপযুক্তরূপ কর্ষণদি করিলে শস্যরূপে এই রত্ন লাভ করা যায়। যাহারা তাহা না করে, তাহারাই এই রত্নে ৰঞ্চিত হয়। অম্পকর্ষণ করিলে মৃত্তিক যেরূপ রৌদ্রে পুড়িয়া যায়, গভীর কর্ষণ করিলে কখনই তত পোড়ে না। বিশেষত: অধিক মৃত্তিকার কর্মশ হেতু গাছের শিকড়ে অধিক জল ও অন্যান্য বস্তু উদ্ভিদের আহার্য্যরূপে সুলভ হয়। যে মৃত্তিক কষর্ণ করা হয় নাই, তাহা ভেদ করিয়া আহাঁর অন্বেষণ করা, শিকড়ের পক্ষে কঠিন ব্যাপার ; এইজন্য গভীর কর্ষণের বিশেষ প্রয়োজন। যে স্থলে নীচে অপক্লষ্ট মন্তিকা আছে, তথায় ইংরেজী লাঙ্গল দিয়া মৃত্তিক উপরে আনিলে আপাততঃ অনিষ্ট হইবে। এই সকল স্থলে আমাদের দেশী লাঙ্গল অথবা ইংরেজী গ্রবর, ব্যবহার করিয়া গভীরাকর্ষণ করা উচিত। তাহাতে যথাকার মৃত্তিকা তথায় থাকিবে, অথচ কর্ষণ কার্য্য অভি গভীর ও সুন্দররাপে সম্পাদিত হইবে । আমার বিবেচনায় এই দেশের ভূমি অর্থবৃদ্ধির সর্ব্ব প্রধান উপায় । উৎকৃষ্ট প্রণালী অবলম্বন করিলে অধিকাংশ স্থলে এক্ষণকার তুলনায় দ্বিগুণ শস্য উৎপন্ন হইবে । এই দেশের কত ভাগ অরণ্যে আবৃত। অবশিষ্ট ভাগেও যত শস্য জন্মান उँडि, उाश श्हेप्डप्छ ना। अभामा দেশের অপেক্ষ এই দেশের ভূমি অধিকতির উর্বরা; এই কারণে অন্যান্য জাতির উপর আমাদের যে স্বাভাবিক প্রাধান্য | |