পাতা:আর্য্যদর্শন - দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৪৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- _. A. | পৌষ ১২৮২ কবিত্ব ও কাব্য সমালোচনা ৷ =---_ 8›ፃ হইলে অপর চরিত্র সকলের সহিত তাছাদের সংস্রবের প্রয়োজন। এক ব্যক্তির জীবনকাণ্ডে অসংখ্য লোকের সংস্রব সম্ভব, কিন্তু মূল চরিত্রের সহিত সেই অসংখ্য চরিত্রের পরিচয় দেওয়া নিস্পয়োজন, এবং আখ্যানের সৌন্দর্য-নাশক । | নদীর স্রোত তৃণক্ষেত্রের কতগুলি তৃণকে স্পর্শ করিয়া চলিতেছে, কত গুলা লতাকে অতিক্রম করিতেছে, আমরা তাহা দেখিতে চাই না, কেবল কোন কোন্‌ সঙ্কীণ পথে স্রোত থরতর হইতেছে, কোন পর্ব্বতে ঠেকিয়া স্রোত গর্জন করিয়া তাহাকে উল্লজিঘয়া পতিত হইতেছে, কোন হৃদয়কে ফাটাইয়া তাহার উপর দিব্য প্রস্রবণ মূর্ত্তি ধরিয়া দাড়াইয়া আছে, সেই সকল সংস্পৰ্শই আমরা দেখিতে চাই, এবং সেই সকল চরিত্র সংস্রবেই আখ্যান এবং আখ্যানের মূল চরিত্র অধিকতর সৌন্দর্য ধারণ করিয়া থাকে। শ্রাব্য খণ্ডকাব্যে বরং অনুচরিত্রবাহুল্য কিয়ৎ পরিমাণে সহনীয়, কিন্তু দৃশ্যখণ্ডকাব্যে তাহ সাধ্যমতে পরিবজ্জন করাই উচিত। নদী যেমন সাগর উদ্দেশে প্রবাহিত, জীবনও তেমনি কোন তৃপ্তি বা শান্তিমুখ সাগর লক্ষ্য করিয়া বহিতে থাকে। নায়ক বা নায়িকার উদ্দেশ্যের সহিত অনুচরিত্র সকলের উদ্দেশ্য মিলিত হইয়া, উভয়ে এক প্রকৃতি হইলে, মিলিয়া কেমন পরিবৰ্দ্ধিত হয়, বিভিন্ন প্রকৃতির হইলে কেমন দ্বন্দ্বে মত্ত অথবা একের आर्डाख्द्रौ१ बन ऎश्रुग्निड इहेश डेळ, প্রাবল্যে অপরের নাশ সাধন করে, একের দুর্ব্বদ্ধিতে অপরকে আকর্ষণ করিয়া উভয়েই নষ্ট হয়, এই সকলের গ্রন্থনেই আখ্যা নের কলেবর রচিত হইয়া থাকে। এই সকল কার্য্যের গতি শ্রাব্যকাব্যে শ্রাবাকাবোচিত এবং দৃশ্যকাব্যে দৃশ্যকাবোচিত হইয়া উঠে, অর্থাৎ শ্রাবাকাব্যে বাহ্য প্রকৃতির কার্য্যই প্রবল এবং দৃশ্যকাব্যে অন্তঃপ্রকৃতির কার্য্যই , প্রবল হইয়া দাড়ায়। - মূল চরিত্রের সহিত অনুচরিত্র | সকলের নিজ নিজ উদ্দেশ্য সাধন বিষয়ে পরস্পরে পরম্পরকে আয়ত্ত করণের যে কার্য্য, তাহার মূল প্রকৃতি দুই প্রকার ; উদ্দীপনা ও বিভ্রম। যাহা দ্বারা অস্তঃকরণ চেতন, সংযত, দৃঢ়, উত্তেজিত ও উচ্ছসিত হয় তাহাই উদ্দীপনা ; আর যাহা দ্বারা অন্তঃকরণ,মুগ্ধ, ভগ্ন, শিথিল, দ্রব ও প্রবা- | হিত হয় তাহাই বিভ্রম। কুসংস্কার,অজ্ঞতা, | অধীনতা ইত্যাদিতে অন্তঃকরণ জড় হইয়া পড়িলে, অথবা অপর কোন বিষয়ে স্থির দৃঢ় হইয়া বসিয়া থাকিলে উদ্দীপনা তাহার | বিরূপ মূর্ত্তিতে উত্থিত হইয় তাহাকে চেতন করায়, আঘাতে আঘাতে তাহার | প্রত্যেক বিস্মৃতি-দ্বার খুলিয়, অতীতকে | প্রবল স্রোতে আনিয়া বর্ত্তমানে ফেলে, দূরকে সাজাইয়া আনিয়া নিকটবর্তী করে, এবং বর্তমানকে তাহার আভ্যন্তরীণ বল স্মরণ করাইয়া দেয়, তখন ভূত ও ভবি ষ্যৎ, উভয় পাশ্বের আঘাতে বর্তমানের