পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/১১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩২০৷৷ অদৃষ্ট-চক্র । ՏԳ. নূতন দৃশ্য দেখিতে লাগিল। আর মধ্যে মধ্যে রাধাচরণকে কোন বৃক্ষের নাম বা স্থানের পরিচয় জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল। রাধাচরণ যে সে সকল প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দিতে পারিতেছিল, এমন নহে। ক্রমে গাড়ী আসিয়া গোর-বারিকে পৌছিল। পোষ্ট অফিসের সম্মুখে গাড়ী থামাইয়া চালক রাধাচরণকে তাহার গন্তব্য স্থানের কথা জানিয়া লাইতে বলিল । রাধাচরণের প্রশ্ন শুনিয়া পোষ্টমাষ্টার বাবু বারান্দায় বাহির হইয়া আসিলেন এবং চালককে তাহার গন্তব্য স্থান লালকুঠীর কথা বলিযা দিলেন । তাহাকে ধন্যবাদ দিয়া, রাধাচরণ আসিয়া গাড়ীতে উঠিল। গাড়ী গন্তব্য স্থানাভিমুখে চলিল। শরৎচন্দ্র “বসু কোম্পানীর” বৈঠক হইতে ফিরিয়া সংবাদপত্র পাঠ করিতেছিলেন। বাহিরে ফটকের সম্মুখে গাড়ী থামিল দেখিয়া তিনি কাগজ রাখিয়া বাহির হইলেন। তিনি খুল্লতাতের বিবাহের সময় রাধাচরণকে দেখিয়াছিলেন, তঁহাকে দেখিয়া যাইয়া প্রণাম করিলেন,-জিজ্ঞাসা করিলেন, “সঙ্গে কে ?” রাধাচরণ বলিল, “আমার সেজ ভগিনী ।” শরৎচন্দ্র ঠাহাকে প্রণাম করিয়া বলিলেন, “আসুন, ছোট কাকী-মা ভাল atte. " রাধাচরণ যান-চালককে ভাড়া দিলেন ও ব্যাগটি নামাইয়া লইলেন। শরৎচন্দ্র রাধাচরণের নিকট হইতে ব্যাগটি লঈয়া আগন্তুকদ্বয়কে গৃহে লইয়া চলিলেন । নীরজার শ্বাশুড়ী দালানে বসিয়া কুটনা কুটিতেছিলেন। নীরজা নিকটেই বসিয়া ছিল। শরৎচন্দ্র পিতামহীকে জানাইলেন, তাহার ছোট কাকীমার দাদা ও দিদি আসিয়াছেন। শুনিয়া বুদ্ধার মুখে বিরক্তিভাব ফুটিয়া উঠিল ; তিনি বলিলেন,-“এ কি, বাপু ! বলা নাই—কহা নাই, ঢং করিয়া কুটুম্ব-বাড়ী আসা কেন ?” শরৎচন্দ্র বলিলেন,—“চুপ কর, ঠাকুর-মা ” শ্বাশুড়ীর কথা শুনিয়া নীরজ কাদিয়া ফেলিল । সরোজা শরৎচন্দ্রের পশ্চাতেই ছিল ; সেও সে কথা শুনিতে পাইয়াছিল। সরোজা ভগিনীর শ্বাশুড়ীকে প্রণাম করিল। তিনি বলিলেন,-“আইস,