পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/১১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩২০ ৷৷ अतृछे-bऊ । ଈପ୍ସା নিদাঘের উত্তপ্ত পবনে অনলের স্পৰ্শ-আকাশ তাম্রবর্ণ-রাজতরেণুর মত ধূলিকণা বাতাসে ভাসিয়া বেড়াইতেছে। অদূরে নদীগর্ভের বালুবিস্তার ; মধ্যে যে যে স্থানে একটু জল বাধিয়া আছে বা শীর্ণ জলস্রোত শাণিত ছুরিকার মত দেখাইতেছে, সেই সেই স্থানে পাখীরা আসিয়া জল পান করিতেছে- পানান্তে একবার উৰ্দ্ধমুখে চাহিতেছে—তাহার পর উড়িয়া কোন বৃক্ষের পল্লবচ্ছায়াস্নিগ্ধ আশ্রয় সন্ধান করিতেছে। পথে পথিক নাইDDBLLBL BD DDBDB KBDLLDL KDB BDBuD DSSYDBDBBB শয়ন করিয়া অলসভাবে রোমন্থ করিতেছে। গৃহে গৃহে বাতায়ন রুদ্ধ। সরোজা ভগিনীর নিকট দানাপুরের বাঙ্গালীদিগের সংবাদ লইল । নীরজা জানাইল, যে সকল বাঙ্গালী সপরিবারে দানাপুরে বাস করেন, তঁহাদের অধিকাংশেরই গৃহ নিকটে। পোষ্ট অফিস, বসুভ্রাতৃদ্বয়ের গৃহ, রসদ-বিভাগের কর্ম্মচারী যতীশচন্দ্রের গৃহ সবই নিকটে। পোষ্টমাষ্টার মহাশয়ের পত্নী, “ডাক্তার সাহেবের” গৃহিণী, “উকীল সাহেবের” ঘরণী, যতীশ বাবুর স্ত্রী সকলেই যে তাহার অসুখ শুনিয়া তাহাকে দেখিতে আসিয়াছিলেন, তাহাও সে ভগিনীকে বলিল ; সঙ্গে সঙ্গে ইহাও বলিল যে, হয় ত তাহারা অপরাহুে আসিবেন, গ্রীষ্মকালে এ স্থানে প্রভাত ও অপরাহু ব্যতীত মধ্যাহ্নে গতায়াত দুঃসাধ্য। প্রাতে গৃহকার্য্যবশতঃ মহিলাদিগের পক্ষে গৃহত্যাগ সম্ভব হয় না ; তাই দেখা-সাক্ষাৎ অপরাহুেই হইয়া থাকে। সরোজা ভগিনীর নিকট সকলের সংবাদ লাইতে লাগিল ; কে কেমন আলাপী, কাহার বাড়ী কোথায়--তাহার কয়টি সন্তান, সে সেই সব সংবাদ লাইল । তাহারই মধ্যে সে যে কল্যাণীর কথাটা বিশেষ ভাবে জানিয়া লইল, নীরজ, তাহ ধরিতে পারিল না । তাহার কারণ, নীরজার সন্দেহের কোনই কারণ ছিল না। কল্যাণী সরোজার কে, সে তাহা জানিত না। সরোজা শুনিল, কল্যাণী স্বভাবগুণে সকলের প্রিয় । কল্যাণীর ছেলেটি দেখিতে কেমন-কত বড়, সে কথাও সরোজা জানিয়া লইল । নীরজার দিদি কলিকাতা হইতে আসিয়াছেন, সে সংবাদ দানাপুরের প্রায় সব বাঙ্গালী পরিবারে প্রচারিত হইয়াছিল। সেই সঙ্কীর্ণ সমাজে আগন্তকের আবির্ভাব সচরাচর হয় না। তাই যে সকল মহিলা সে সংবাদ শুনিয়াছিলেন-তাহারা তাহাকে দেখিতে আসিবেন, স্থির করিয়াছিলেন । বেলা পড়িতে না পড়িতে উকীল-গৃহিণী। ডাক্তার-গৃহিণীকে বলিলেন, “দিদি !