পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩২০ ৷৷ अलूके-ष्क। > 0). Pr anno হার খুলিয়া লইয়া কল্যাণীর অঙ্কস্থ শিশুর কণ্ঠে পরাইয়া দিল ও তাহাকে মাতুব্বক্ষ হইতে লইয়া আপনার বক্ষে ধারণ করিল। কল্যাণী সরোজাকে ভাল করিয়া দেখিল, এই সপত্নী ! ইহাকে ভয় ? ইহাকে যে দেখিলেই শ্রদ্ধা করিতে-ভালবাসিতে ইচ্ছা করে । সরোজা কল্যাণীকে দেখিল, এই সরলা সপত্নী ! ইহাকে স্নেহ না করিয়া কি থাকা যায় ? দুইটি রমণীহৃদয়ে পরস্পরের স্বরূপ প্রতিভাত হইল-পরম্পরের প্রতি স্নেহের আকর্ষণ অনুভূত হইল। কল্যাণী সরোজাকে প্রণাম করিল। সরোজা কল্যাণীকে আশীর্ব্বাদ করিল। মহিলাদিগের মধ্যে কেহই সরোজার কার্য্যের অর্থ উপলব্ধি করিতে পারিলেন না। সকলেই বিস্ময়ে নিৰ্বাক । তাহার পর নীরজার শ্বাশুড়ী তাহার পাশ্বস্থা জ্যেষ্ঠ পুত্রবধূকে বলিলেন, “এ কি বাপু ? যাহাকে জানি না,চিনি না, তাহার ছেলের মুখ দেখিতে পাঁচ শত টাকার হার দেওয়া ! অবাক কাণ্ড!” সরোজা সে কথা শুনিতে পাইল ; বলিল, “মা, এ যে আমারই ছেলে। আমার সবই ইহার ।” নীরজার ভগিনীর যে সপত্নী আছে এবং সে পিত্রালয়বাসিনী, সকলে ৩াহ জানিতেন ; কিন্তু কল্যাণীই যে তাহার সপত্নী, কেহই তাহা জানিতেন না ! সরোজার কথায় সকলে তাহা বুঝিলেন । এই অপ্রত্যাশিত মিলনে সকলেই বিস্মিত এবং কেহ কেহ শঙ্কিত হইলেন । নীরজার শ্বাশুড়ী সরোজার কথা শুনিয়া আরও বিস্মিত ও বিরক্ত হইলেন ; বলিলেন, “তাহা হউক । মা, তোমরা-আজিকালের মেয়েরা বড় অবুব-বড় অসাবধান । গহনা যে সময় অসময়ের জন্য, তাহাও বুঝি না।” স্বামীর অনাদৃত রমণী যে সপত্নীপুলকে দেখিয়া এমন স্নেহ জানায়-তােহা তাহার নিকট ভাল বোধ হইতেছিল না । শিশু তখন সরোজার কাপড়ের পাড় লইয়া খেলা করিতেছিল । তাহার মুখচুম্বন করিয়া – আপনার নিম্ফল বক্ষে তাহাকে ধরিয়া সরোজা মনে করিতেছিল, সে অননুভূতপূর্ব্ব অসীম সুখ লাভ করিতেছিল। সে শিশু যেন একান্তই তাহার। কল্যাণীকে বসিতে বলিয়া সরোজা বসিল । শিশু সরোজার কাছেই রহিল। সরোজা সকলের সহিত নানা কথা কহিতে লাগিল। কিন্তু নীরজা কেমন অন্যমনস্কা ! সে কেবলই কি ভাবিতেছিল।