পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVN আর্য্যাবর্ত্ত । ৪র্থ বর্ষ-২য় সংখ্যা । হইলে বাবার পছন্দ হইত না। গৃহস্বামী প্রতি বৎসর গৃহের সংস্কার করিতে চাহিত না-বাবা নিজব্যয়ে তাহ সারিয়া লইতেন। উঠানে আবর্জনা বা ঘরে ধূলা বাবা সহিতে পারিতেন না। কাযেই গৃহে দাসদাসীর বাহুল্য ছিল। আমার পাঠের ব্যবস্থাও বিশেষ ব্যয়সাধ্য ছিল । এরূপ অবস্থায় সঞ্চয় সম্ভব নহে। বাবা অর্থসঞ্চয় করিতে পারেন নাই। তাই পাছে বিবাহ করিয়া আমি সংসারের ভাবনা ভাবিয়া বিব্রত হই, সেই জন্য তিনি আমার পাঠশেষে বিবাহ-সঙ্কল্পের সমর্থনা করিতেন। বাবার কথায় প্রতিবাদ করা মা’র প্রকৃতিবিরুদ্ধ ছিল । তাই বাবা যত দিন বঁাচিয়া ছিলেন, তত দিন ख्वाधि दिदाश् कद्धि माछे । কিন্তু আমি যোবার বি, এ, পরীক্ষা দিলাম সেবার পরীক্ষার ফল বাহির হইবার পূর্বেই পিতার মৃত্যু হইল। আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইলাম। অনেকে ওকালতীর জন্য পড়িতে পরামর্শ দিলেন । অনিশ্চিত সাফল্যের আশায় সর্ব্বস্ব ঘুচান সুবুদ্ধির কার্য্য নহে মনে করিয়া আমি স্থির করিলাম, চাকরী করিব। মা’কে সে কথা জানাইলাম। মা বলিলেন, “তুমি যাহা ভাল বুঝ, তাহাই কর। তুমি যাহা করিবে, আমি তাহাতেই সন্মতি দিব।” বাবা যে আফিসে কায করিতেন, সেই আফিসের কন্যাদায়গ্রস্ত “বড়বাবু” পূর্বেই আমার সন্ধান পাইয়া বাবার নিকট আমাকে কন্যাদানের প্রস্তাব করিয়াছিলেন । বাবারও তা হাতে বিশেষ অমত ছিল না । এখন তিনি সেই প্রস্তাব লইয়া উপস্থিত হইলেন এবং অবিলম্বে সমর-বিভাগে আমার মাসিক এক শত টাকা বেতনের একটি চাকরী করিয়া দিলেন। কথা পাকা হইয়া রহিল, কালাশৌচ গাতে আমার বিবাহ হইবে। বিবাহে আমার সন্মতি পাইয়া মা’র স্নান মুখে একটু প্রফুল্লতা দেখা গেল। ( R ) যথাকলে আমার বিবাহ হইল । * চাকরীতেও আমার বেতনবৃদ্ধি হইল। কুটুম্বিনীরা ইহাতে আমার পত্নীর ভাগ্য-পরিচয় পাইলেন—আমার কার্য্যক্ষমতা দেখিলেন না । দুই বৎসর কাটিয়া গেল। জননীর স্নেহে ও পত্নীর প্রেমে দুই বৎসর সুখেই কাটিল । কেবল মধ্যে মধ্যে বাবার কথা মনে পড়িলে একটা অব্যক্ত বেদনায় হৃদয় চঞ্চল হইয়া উঠিত । তৃতীয় বৎসরের শেষভাগে আফিসে একটা ভাঙ্গাগড়া হইতে লাগিল।