পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আঘাঢ়, ১৩২০ ৷৷ | &SR). বিবাহ দিন। আমি আদেশ করিলে সে বিবাহ করিবে। আপনাকে কিছুই দিতে হইবে না। গহনা পর্যন্ত যাহাতে না দিতে হয় সে ব্যবস্থাও আমি করিব। শুধু গুটিদশেক বরযাত্রী আসিবেন। বলুন, তা' হলে এই ২রা আষাঢ়ই দিন স্থির করি। পাত্র ত আপনার পূৰ্বে দেখাই আছে। রাজি আছেন ? ব্রজগোপালের নৈরাশ্যমান মুখমণ্ডল সহসা জ্যোৎস্নাদীপ্ত আকাশের ন্যায় উজ্জ্বল হইয়া উঠিল। আনন্দ বিজড়িত কণ্ঠে তিনি বলিলেন, “এ ত আমার পরম সৌভাগ্য ! কিন্তু তঁা’রা কি বিনা অর্থে সন্মত হ’বেন ?” “সে ভার আমার উপর। তবে আপনার কন্যাকে একবার দেখিতে হইবে। বলেন তা আজ বৈকালেই দেখিয়া আসি। কন্যাটি যদি সুন্দরী হয়, কোন বাধা হইবে না ।” ঘোষ মহাশয়ের চিন্তাশীর্ণ মুখমণ্ডল সত্যই আজ আশার আলোকে সমুজ্জ্বল হইয়া উঠিল। যে পাত্রের জন্য তিনি দরিদ্রের যথাসৰ্বস্ব এমন কি পৈত্রিক বাড়ী পর্য্যন্ত বন্ধক দিতেছিলেন, তাহার তুলনায় প্রস্তাবিত পাত্রটি উৎকৃষ্ট না হইলেও হীন নহে। বিশেষতঃ একরূপ বিনাব্যয়েই এ বিবাহ হইয়া যাইবে। ইহা অপেক্ষা সৌভাগ্যের বিষয় তাহার মত অবস্থায় লোকের আর কি হইতে পারে ? ঘোষ মহাশয়ের আনন্দ দর্শনে নরেশচন্দ্রের অন্তরে কোন পরিবর্তন ঘটিল। কি না বুঝা গেল না। তবে ব্রজগোপালের বিদায় গ্রহণের পরেই তিনি পুনরায় নিবিষ্ট মনে কাগজ লইয়া ঠোঙ্গা তৈয়ার করিতে বসিলেন। খানিকটা সময় বৃথা গেল। নরেশচন্দ্র দ্রুততর বেগে কায করিতে লাগিলেন। ( . ) বিনা পণে, একরূপ বিনা খরচায় এই ভয়ঙ্কর বেচাকেনায় যুগে কন্যাটিকে পাত্রস্থ করিতে পারিতেছেন, সুতরাং ঘোষ মহাশয় অবস্থার অনুযায়ী একটু আয়োজনও করিয়াছিলেন। দরিদ্রেরও ত আত্মসন্ত্রমজ্ঞান আছে ? আলোকিত বিবাহবাটীর প্রাঙ্গণে কন্যান্যাত্রিগণ সন্ধ্যার পর একে একে সমবেত হইলেন। তখনও বর আইসে নাই। রাত্রি ৯টায় লগ্ন। কিয়ৎ কালপরে নরেশচন্দ্র অনিলচন্দ্রকে সঙ্গে করিয়া সভাপ্রাঙ্গণে দেখা দিলেন ; ঘোষ মহাশয়কে বলিলেন, রাত্রি সাড়ে সাতটার গাড়ীতে র্তাহার অগ্রজ