পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२० আর্য্যাবর্ত । 8് {{-9് | | যুগল পাত্র ও কয়েকটি আত্মীয়সহ কলিকাতা পৌছিবেন। কোন চিন্তার প্রয়োজন নাই। এইজন্য তিনি অগ্রেই আসিয়াছেন। ব্রজগোপাল সযত্নে নরেশচন্দ্রকে বসাইলেন। তঁহারই চেষ্টায় দরিদ্র কন্যাদায়গ্রস্ত বৃদ্ধ এত সহজে মুক্তি পাইবেন । কৃতজ্ঞতায় বৃদ্ধের হৃদয় ভরিয়া’উঠিয়াছিল। এমন সময় কয়েক ব্যক্তি সভাস্থলে প্রবেশ করিলেন । অগ্রজদ্বয়কে দেখিয়া নরেশচন্দ্র ধীরে ধীরে উঠিয়া গেলেন। ঘোষ মহাশয় বলিয়া উঠিলেন, 'दद्र अनि८ङgछ !' কথাটা তাড়িতগতিতে অন্তঃপুরে প্রবেশ করিল ; আমনই হুলুধ্বনি ও শঙ্খরোল বিবাহবাটী মুখরিত করিয়া তুলিল। শচীশচন্দ্র নিম্নস্বরে বলিলেন, “এ কি নরেশ ? টেলিগ্রামে কোন কথা খুলিয়া লেখ নাই ; শুধু ‘আজ বিবাহ হইবে, চলিয়া আসিবে। ৩৫ নং মৃজাপুর ট্রীটের বাড়ীতে বিবাহ। এত ছেলে খেলা নিছে ? তোমার-” নরেশচন্দ্র গম্ভীর স্বরে বলিলেন, ‘দাদা !” শচীশ চমকিয়া উঠিলেন। দেখিলেন ভ্রাতার মুখমণ্ডল আরক্ত হইয়া উঠিয়াছে। তিনি প্রমাদ গণিলেন ; কথাগুলি বলিয়া ফেলিয়া বড়ই অন্যায় করিয়াছেন “আমি কি পাগল ? আমাকে তোমার অবিশ্বাস হয় ?” ঘোষ মহাশয় দেখিলেন, আগন্তুকদিগের কেহই বরাসন অলঙ্কত করিল। না। তখন তিনি মনে মনে একটু অস্থির হইয়া উঠিলেন। কন্যাপক্ষীয়গণও বিন্মিত হইলেন। ব্রজগোপাল দ্রুত গতিতে নরেশের কাছে আসিয়া বলিলেন, “নরেশ বাবু, বীর কই ?” “ব্যস্ত হইবেন না । বর আসিতেছে । আপনি সমস্ত আয়োজন করুন।” সে দৃঢ় গভীর স্বরে ঘোষ মহাশয় আশ্বন্ত হইলেন। শচীশচন্দ্র নিম্ন স্বরে বলিলেন, “শেষে মরা গরীব ব্রজবাবুর কন্যার मछिख्-' বাধা দিয়া নরেশ বলিলেন, “এত দিন বিশ্বাস রাখিয়াছ, কোন অন্যায় দেখিয়াছ কি ? তিৰে আজি কথা বলিতেছ। কেন ? আমি কৃপণ হইতে পারি, किह बिल्कॉक्ष छ महे |” জ্যেষ্ঠ বলিলেন, “রাগ করো, না ভাই, তোমার জন্যই তা আমাদের সাৰ। যা৷” জাল বুক কয়।”