পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨૨૨ अवि६ । 8&fr$---set vertig { দিলাম। দাদা, তুমি আনিলের বিবাহ দিয়া বোধ হয় কোন দিন বিশ হাজার টাকা পাইতে না ?’ তাহার পর ভূপেশচন্দ্রের দিকে চাহিয়া নরেশচন্দ্র বসিলেন, “মেজদা, তোমার স্ত্রীর গহনাগুলা ঘোড় দৌড়ের পেছনেই যাইত। নিষ্ঠুরের মত তখন তোমার কাছ থেকে সেগুলি কিনে নিয়েছিলাম, আজ সেগুলি অনিলের স্ত্রীকে দান করিলাম ! তোমারও ছেলে মেয়ে নাই, আমিও অপুত্রক । অনিল বাচিয়া থাক, বংশের নাম বজায় থাকিবে। এর চেয়ে বড় কামনা আমার কোন দিন ছিল না। আমার ব্যবহারে হয়ত তোমাদিগকে বিরক্ত হইতে হইয়াছে। কিন্তু আজ এই শুভদিনের আনন্দে আমার অপরাধ মাৰ্জনা করিও ।” বিস্ময় মুগ্ধ জনতা নরেশচন্দ্রের কথা সাগ্রহে শুনিতেছিল। বিবাহের লগ্ন যে উপস্থিত, সকলেই সে কথা ভুলিয়া গিয়াছিল। নরেশচন্দ্র বলিলেন, “বেহাই, কায আর্যস্ত করিয়া দিন, শুভক্ষণ চলিয়া যাইতেছে যে !’ চারি দিক হইতে একটা বিপুল আনন্দোচ্ছাস যেন সভাপ্রাঙ্গণ প্লাবিত করিয়া দিল। শঙ্খ দ্বিগুণ রোলে ধ্বনিত হইল । জ্যেষ্ঠ প্রাণপণ আবেগে কনিষ্ঠকে বক্ষে চাপিয়া ধরিয়া বলিলেন, “দলিল তুমি কাছে রাখ, ভাই। অনিলের বাপের কাব্য তুমিই কলিয়াছ। আমার টাকায় প্রয়োজন নাই। আমরা কেহ তোমাকে এত দিন চিনিতে না পারিয়া। অপরাধ করিয়াছি। তুমিই আমাদিগকে ক্ষমা কর, ভাই।” শ্রীসরোজনাথ ঘোষ । পূর্বসংস্কার। দেহ হতে দেহান্তরে করিয়া ভ্রমণ, লয়ে যায় জীব সাথে পূর্বের সংস্কার ; কুসুমে কুসুমে ভ্রমি” যেতে সমীরণ যেমতি গ্রহণ করে সুরভি তাহার। শ্রী যতীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।