পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R8 एॉर्ड् | ৪র্থ বওয়া সংখ্যা । তিনি একেবারে ভাসিয়া যায়েয় নাই। পাশ্চাত্য চিন্তার খরস্রোতায় পড়িয়াও তিনি তঁাহার নিজস্ব রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছেন। তাহার সিদ্ধান্তগুলির অস্থি মজ্জায় হিন্দুভাব অনুপ্রবিষ্ট। তাই তিনি বলিয়াছেন,- “ধর্ম্মের উন্নতির জন্য মাটিনো বা হাৰ্বাট স্পেন্সারের পরামর্শ তত বেশী না ল’য়ে নিজেদের ঘরের মহাত্মাদের পথ অবলম্বন ক’রে দেখ, কোন পথে যাওয়া যায়।” ( ৭ পৃষ্ঠা )। বর্ত্তমান কালে, এই পাশ্চাত্য ভাবের প্লাবনপীড়ন-সময়ে, এই কথার যে মূল্য আছে, তাহ হিন্দুমাত্রেই স্বীকার করিবেন। কিন্তু তিনি কেবল এই কথা কয়টি বলিয়াই ক্ষান্ত হয়েন নাই । যেরূপ দিন কাল পড়িয়াছে, তাহাতে কেহ শুষ্ক উপদেশ শুনিতে চাহেন না । সমাজের ও দেশের উপকার করিতে হইলে তোমার সিদ্ধান্তগুলি যুক্তিতর্কের পাক বনিয়াদের উপর প্রতিষ্ঠিত করিতে হইবে। নতুবা লোক উহা উপহাসে উড়াইয়া দিবে। সেই জন্য বিনয় বাবু তাহার সন্দর্ভগুলিতে যুক্তিতর্কের অবতারণা করিয়াছেন। তাই তিনি বলিয়াছেন, -“প্রত্যেক দেশের, জাতির ও সমাজের ক্রমবিকাশের এক একটী ভিন্ন ভিন্ন পন্থা আছে। সেই সেই নিয়ম মেনে চলতেই হবে । সকল সমাজের প্রকৃতি এক নয়-এজন্য সকলের ব্যবস্থাও এক নয়। এক সমাজের নিয়ম আর এক সমাজের হানিকরাও হতে পারে। যার যেখানে প্রাণ সেখানটা খুঁজে বের করে তবে কাজ করা উচিত। স্বাতন্ত্র্যটা কোথায়,-কোন বিষয়ে কোন কাজে লুকিয়ে আছে, এটা ঠিক না। কবুতে পাৰ্বলে সকল শ্রমই পাণ্ড হয়ে যায়। আমড়া গাছে আমের জন্য উৎসুক হয়ে থাকুলে যেরূপ হয়,-প্রবৃত্তিপরায়ণ ব্যক্তি ও সমাজের কাছে নিবৃত্তির নিদর্শন আশা কবুলেও সেইরূপ ফললাভ হয়” । ( ৯ পৃষ্ঠা ) বিনয় বাবু এই উপলক্ষে বৈদেশিক মনীষীদিগের দোহাই দিয়াছেন সত্য-কিন্তু তাহাতে র্তাহার সন্দর্ভের গৌরব ক্ষুন্ন হয় নাই,-বরং বৃদ্ধি পাইয়াছে। কারণ আমরা এখন আমাদের মন ও বুদ্ধিকে যুরোপের কাছে একেবারে বিকাইয়া দিয়াছি। সুতরাং এখন ঘরের ছেলেকে ঘরে ফিরাইয়া আনিতে হইলেও য়ুরোপীয়ানের সাহায্য আবশ্যক। স্বৰ্গীয় ইন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয় বলিতেন, “যে ব্যক্তি শ্মশানভূমির অনেক দূর পর্য্যন্ত অগ্রসর হইয়াছো-শ্মশানের মৃত্তিকায় পদাঙ্গাস না করিয়া তাহার আর গৃহে ফিরিবার উপায় থাকে না ।” অর্থাৎ সেই ব্যক্তিকে ঘরে ফিরিবার সময়