পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sr আর্য্যাবর্ত্ত । ৪র্থ বর্ষ-৩য় সংখ্যা । বিচক্ষণতার সহিত বুঝে মনুষ্য জীবনের চরি৷ আশ্রম সৃষ্টি করেছেন।” এই শিক্ষা যে বিদ্যালয়ে দেওয়া হয়, তাহ নিশ্চয়ই আদর্শ হিন্দু বিদ্যালয় । “গৃহস্থের ঘর ভোগের আডিডা বটে-কিন্তু তার নিজের কপালে উচ্ছিষ্ট ভক্ষণ । যে যেস্থানে আছে-অতিথি ব্রাহ্মণ পশু পক্ষী-সকলকে দান ক’রে অবশিষ্ট যা থাকবে গৃহস্থের অধিকার কেবল সেটুকুতে।” হিন্দুর এই অমূল্য উপদেশ যে সকল শিক্ষক ছাত্রদিগের হৃদয়ে দৃঢ় ভাবে অঙ্কিত করিতে সমর্থ তাহারাই আদর্শ শিক্ষক। সুতরাং বিনয় বাবুর কল্পিত বিদ্যালয় যে হিন্দুৱ সর্ব্বথা। সমর্থনযোগ্য তাহাতে আর সন্দেহ নাই । কিন্তু এ বিষয়ে একটা বিশেষ কথা আছে। জাতীয় বিদ্যালয় যাহাতে কোনরূপ রাজনীতিক ব্যাপারে বিজড়িত না হয়, সে দিকে প্রতিষ্ঠাতৃগণের বিশেষ দৃষ্টি রাখা কর্ত্তব্য ছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে তাহারা যে সময়ে এই শ্রেণীর বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করিতে আরম্ভ করেন। সেই সময় দেশে রাজনীতিক বিক্ষোভ প্রবল ভাবে আত্মপ্রকাশ করিয়াছিল। অর্থনীতিক স্বদেশীর সহিত রাজনীতিক বয়কট আসিয়া যোগ দিয়াছিল। সে সময় জাতীয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাব্যাপারে যে সতর্কতা অবলম্বন করা কীর্ত্তব্য ছিল, নেতৃবৰ্গ সে সতর্কতা অবলম্বন করেন নাই। ফলে আজ জাতীয় বিদ্যালয়গুলি রাজরোষে পতিত হইয়াছে, এ কথা অনেকে মর্ম্মে মর্ম্মে বুঝিতে পারিতেছেন । জাতীয় বিদ্যালয়ের সহিত রাজনীতিক অবস্থার কোনও সম্বন্ধ নাই,-সম্বন্ধ রাখাও সমীচীন নহে-বিনয় বাবু সে কথা তাহার সন্দর্ভের কোনও স্থানে বলেন নাই, ইহা দেখিয়া আমরা দুঃখিত হইলাম। অনুষ্ঠান বিশেষের উপর কোনও অভিযোগ আরোপিত হইলে,-সেই অভিযোগ সমূলকই হউক আর অমূলকই হউক, তাহার প্রতিবাদ করা কীর্ত্তব্য । ‘হিন্দু ও মুসলমান’ শীৰ্ষক সন্দর্ভে গ্রন্থকার অনেকগুলি সারগর্ভ কথা বলিয়াছেন। তিনি বলিয়াছেন যে, ধর্ম্ম লইয়া হিন্দু মুসলমানে বিরোধ হয় না, হইতে পারে না। স্বার্থ লইয়াই দুই সম্প্রদায়ে বিবাদ বাধে। স্বার্থ লইয়া হিন্দুৱ সহিত হিন্দুর এবং মুসলমানের সহিত মুসলমানেরও বিবাদ দাঙ্গা মারামারি ও কাটাকাটি হয়। মুসলমান সমাজে শিক্ষার বিস্তার হইলে DDD DDDD S SDD uluuD DDB BBDBD BDDBDS DD BDDDS করণ ঠিক হয় নাই। নাম শুনিয়া পল্লবগ্রাহী লোকরা না পড়িয়াই উহা বিলাতী। 'সোম্যালিন্মের? উদাগার বলিয়া মনে করিতে পারেন। কিন্তু বস্তুতঃ ।