পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ni, soao I 5न । ২৩১ জন্যই এ প্রবন্ধটি লিখিত হইয়াছে। ‘সাহিত্যসেবী” সন্দর্ভটিতে চিন্তাশীলতার ৰিলক্ষিণ পরিচয় আছে। সামান্য দুই এক স্থলে লেখকের সহিত আমাদের কিঞ্চিৎ মতান্তর থাকিলেও আমরা যোটের উপর লেখকের ভূয়সী। প্রশংসা না করিয়া থাকিতে পারি না । সাহিত্যক্ষেত্রে সংরক্ষণ নীতিবিষয়ক প্রস্তাবটি আঢ্য ব্যক্তিদিগের বিশেষ আলোচ্য বিষয়। আমাদের দেশে । পূর্বে যে ব্যবস্থা ছিল, তাহা যেন সর্ব্বাঙ্গ-সুন্দর বলিয়া মনে হয়। কিন্তু সে ব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্ত্তন এখন অসম্ভব। কালের প্রভাব ও কলির প্রভাব পুরাতনকে স্থানভ্রষ্ট করিয়া নূতনের প্রতিষ্ঠা করিয়াছে। নূতনের সহিত সমঞ্জসীভূত করিয়াই সেই পুরাতন ব্যবস্থাকে প্রবর্ত্তিত করিতে হইবে। বিনয় বাবুর মতে সাহিত্যিকদিগকে অনন্যকর্ম্মা করিয়া সাহিত্যের পুষ্টিসাধনে আত্মনিয়োগ করিতে সমর্থ করিবার জন্য জমিদারী বা বৃত্তিদান আবশ্যক। আমাদের সমাজের এখনও সে সময় আইসে নাই। বিষয়টির বিস্তৃত আলোচনা হইলে ভাল হয় । আমার শেষ বক্তব্য এই যে, বিনয়বাবু তাহার গ্রন্থে যে সকল বিষয়ের অবতারণা করিয়াছেন,-তাহার বিস্তৃত আলোচনা হওয়া উচিত ছিল। তঁহার প্রত্যেক কথাই দেশের মর্ম্মকথা । এইরূপ মর্ম্মকথারজীবন-মরণের কথার, আলোচনায় সাহিত্যিকগণ সে-বিশেষভাবে আত্মনিয়োগ করেন না,-ইহা নিতান্ত দুঃখের ও বেদনার কারণ। অধ্যাপক সরকার যাহা বলিয়াছেন, তাহাই যে সর্ববাদিসন্মতিক্রমে গৃহীত হইবে, ইহা মনে করা বাতুলতামাত্র। কিন্তু সাহিত্যক্ষেত্রে মতামতের ঘাতপ্রতিঘাত হইলে সত্যনিৰ্দ্ধারণ সহজ এবং বিষয়গুলিও জনসমাজের আলোচনার বিষয়ীভূত হইবে। আমরা সকলকে এই গ্রন্থখানি পাঠ করিতে অনুরোধ করি । লেখকের ভাষাসম্বন্ধে কয়েকটি কথা না বলিয়া এই প্রবন্ধের উপসংহার করিতে পারিলাম না । গ্রন্থকার কথোপকথনের চলিত ভাষায় সন্দর্ভগুলি লিখিয়াছেন । এই ভাষায় কোনও কোনও বিষয় লিখিলে সুবিধাও হয়। কিন্তু সকল ক্ষেত্রে তাহা হয় না। বিশেষতঃ ইহার একটা বিশেষ অসুবিধা আছে। স্থানভেদে ও সমাজের স্তরভেদে এই কথোপকথনের ভাষা ও বচনভঙ্গী অত্যন্ত বিভিন্ন হয়। শব্দের অর্থও অল্পবিস্তুর বিভিন্ন হয়। এমন কি পাঁচ সাত ক্রোশের মধ্যেও ভাষার বিভিন্নতা