পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিজেন্দ্রলাল রায় ( R ) আমরা বলিয়াছি, হাসির গানে-ব্যঙ্গবিদ্রপ-রচনায় দ্বিজেন্দ্রলাল বঙ্গ সাহিত্যে যুগান্তর প্রবত্তিত করিয়াছিলেন । ব্যঙ্গবিদ্রপ-রচনা বাঙ্গালা সাহিত্যে চিরদিনই ছিল । সমাজিক অবস্থায় সাহিত্য নিয়ন্ত্রিত হয়-এ কথা যদি স্বীকার করিতে হয়, তবে ইহাও অস্বীকার করা যায় না যে, পূর্বে বাঙ্গালা সাহিত্যে এইরূপ রচনার উৎস স্বতঃই উৎসারিত হইত। কারণ, তখন বাঙ্গালার সমাজে আনন্দের অধিক অবকাশ ছিল ; বাঙ্গালায় স্বাস্থ্য, সুখ, সম্পদ ছিল---বাঙ্গালীর দুর্ভাবন। এত অধিক ছিল না । ভারতচন্দ্র হইতে দাশরথি পর্য্যন্ত বাঙ্গালার কবিকুলের রচনায় হাস্য-রাসের-ব্যঙ্গবিদ্ধপানিপুনতার পরিচয়ের অভাব নাই । ‘অন্নদামঙ্গলে’ “পাকা দাড়ি বুড়া” শিবকে বার সাজাইবার সময় সদানন্দ নারদ বলিতেছেন। -- “জটাজুটে চুড়া সাপে বান্ধ খুড়া মুকুটে কি দিবে শোভা । কি কাজ মুক্তায় छ्i८७छ्ट्र व्īश्न कछद्र भी दर (वीटी ।" “মানসিংহে চন্দ্রমুখী ব্যঙ্গোক্তি করিয়াছেন “সুয়া যদি নিম দেয় সেহি হয় চিনি । দুয়া যদি চিনি দেয় নিম হন তিনি ৷” ‘শ্রী রাধার কলঙ্ক ভজনে।” দাশরথি হাতুড়ে বৈদ্যের বর্ণনা করিয়াছেন “হাতুড়ে বলেন, ধরি হাত, এতো ঘোর সান্নিপাত ! দধির মাত শীঘ্র আনতে হয়। আগে লয়ে দক্ষিণার কড়ি ঘর্ষণ করিয়া বাড়ি, अॅन् कब्रुन् शांठध्र ॥ যে ঔষধ আমবাতে, তাই দেন সন্নিপাতে, তাই দেন। পৃষ্ঠাঘাতে, যকৃৎ- প্লীহা-পাতে ঔষধের দোষে ভুগি অন্ন থাকতে মরে রোগী, অপমৃত্যু হাতুড়ের হাতে।” এ সব রসিকতা একটু মোটা। প্রাচীন বঙ্গ সাহিত্যে বা বাঙ্গালীর কথায় যে মিহি রসিকতা ছিল না- এমন নহে-যথেষ্ট ছিল। চুটুকী গল্পে