পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৩০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১৩২০ ৷৷ স্মৃতি । Sus লইয়া খেলা করিয়া তাহার তৃপ্তি হইত না। তাই রাফি উদ্দীনকে খেলার সাখী পাইয়া সে পরম পুলকিত হইল। সে তাহদের বাল্যকালের কথা । কিন্তু সেই সময় হইতেই বয়োজ্যেষ্ঠ রাফি উদ্দীন গুলবদনের প্রতি ব্যবহারে যে সতর্ক স্নেহ দেখাইত দুর্ব্বলের প্রতি সবলের ব্যবহারে সেই স্নেহ দুৰ্বলকে স্বতঃই সবলের প্রতি আকৃষ্ট করে। তাই গুলবদন রাফি উদ্দীনের প্রতি আকৃষ্ট হইত। আর তখন সমগ্র দিল্লী সহরে রূপে গুণে রাফি উদ্দীনের সমকক্ষ কেহ ছিল না। তাহার কান্ত রূপ দেখিলে চক্ষু জুড়াইত— আবার নিয়মিত শারীরিক শ্রম সেই দীর্ঘ দেহ বাহুল্যবর্জিত ও সামঞ্জস্যসুন্দর করিয়া মুক্তাফলে তরল ছায়ার মত তাহার রূপে অসাধারণ লাবণ্য সঞ্চারিত করিয়াছিল। তখন, সন্ত্রান্ত বংশে সকলেই তরবারি ব্যবহার কারিত—তরবারির খেলায় নিপুণতা পুরুষের পক্ষে শ্লাঘার কথা ছিল। দিল্লীর কোন যুবকই তরবারি-চালনেসন্তরণে-অশ্বারোহণে রাফি উদ্দীনকে পরাভূত করিতে পারিত না। আবার রাফি উদ্দীন পিতার বিদ্যার উত্তরাধিকারী হইয়াছিল! কবিতা-রচনায় তাহার প্রতিষ্ঠা ছিল। সে যখন কবিতা আবৃত্তি করিত তখন লোক মুগ্ধ হইয়া শুনিত। গুলবদনও মুগ্ধ হইয় তাহার কবিতাপাঠ শুনিত, মুগ্ধনেত্রে তাহাকে দেখিত । যে দিন রাফি উদ্দিন দেখিল, সে কবিতাপাঠ শেষ করিয়া গুলবদনের দিকে চাহিলেই গুলবদনের দৃষ্টি নত হইয়া পড়িলা --তাহার গণ্ডের গোলাপী আভা গাঢ়তর হইয়া তাহার কর্ণমূল পর্য্যন্ত ছড়াইয়া পড়িল সেই দিন হইতে সে সুজা উদ্দৌলার গৃহে যাতায়াত কমাইয়া দিল। সে সুজা উদ্দৌলার ভ্রান্ত সন্মানজ্ঞানের কথা জানিত ; আর জানিত, যুবতী-হৃদয়ের বাসনাকে বিশ্বাস করিতে নাই-সে। গিরিনদীর মত আপনার বেগে আপনি পথ করিয়া সেই পথে প্রবাহিত হয় । রাফি উদ্দিনের প্রতি কন্যার এই ভাবের কথা সুজা উদ্দৌলার কর্ণগোচর হইয়া থাকিবে । নহিলে কন্যার বিবাহের জন্য পাত্রসন্ধানে সহসা তাহার 65छे दांgिश (कम ? 8 সুজ। উদ্দৌলা কন্যার জন্য পাত্র নির্বাচিত করিলেন। পাত্র দিল্লীর বাদশাহবংশীয়। র্তাহার পূর্বপুরুষগণ পুরুষানুক্রমে বাদশাহদিগের বিলাসবছিতে ইন্ধন যোগাইয়া অর্থশালী হইয়াছিলেন ; পশুপ্রবৃত্তির চরিতার্থতায়