পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১৩২০ ৷৷ অদৃষ্ট-চ ফ। S..ዓ እo ̈ যতীশচন্দ্র চলিয়া যাইবার পর “ডাক্তার সাহেব” বলিলেন, “এ কি ? লোকটা ক্ষেপিয়াছে, না। আমাদের ক্ষেপাইবে ?” মাষ্টার মহাশয় বলিলেন ‘না ! লোকটার স্ত্রীভাগ্য ত দেখা গেল-"অ ভাব হইল না । এখন দেখুন, স্ত্রীভাগ্যে ধন – তাহারই বা কি হয়।” পোষ্টমাষ্টার বাবু বলি েন, “স্ত্রীভাগ্য আপনারই বা মন্দ কি ? আপনারও ত অভাব হয় নাই। দেখুন, আপনারও ধন্যভাগ্য যদি ঐ রূপ হয়। আমাদেৱ ভাগ্যে কোনটারই বাহুল্য নাই .. ” ‘दg छू:श्रे !" শরং বাবু বলিলেন, “লোকটার জীবন আগাগোড়াই অদ্ভুত। আমরা ছোট কাকীমা’র কাছে আর তঁহার প্রাতার কাছে সব শুনিয়াছি। যেন । উপন্যাসের নায়ক । লোকটি শৈশবে মাতৃহীন । ধনী পিতার একমাত্র সন্তান হইয়াও পৈত্রিক সম্পত্তিতে বঞ্চিত ।” মাষ্টার মহাশয় জিজ্ঞাসা করিলেন, “সে কি ? “পিতার অর্থের অভাব ছিল না । পুল অবাধ্য হইলে পিতা তাহার সহিত সম্বন্ধ বিচ্ছিন্ন করিবেন, বলেন । পুত্র পিতার উপর রাগ করিয়া আবার বিবাহ করেন । পিতা তাহাতেই দেশত্যাগী হয়েন ও আপনার সমস্ত সঞ্চয় চিকিৎসালয়াদির প্রতিষ্ঠার জন্য দান করেন। তাই পুত্রকে জীবিকা অর্জনের জন্য চাকরী করিতে হইতেছে । তাহার পর যে সব বন্টনা ঘটিয়াছে সবই বিস্ময়কর ব্যাপার ।” “আর যাহা ঘটিবে বোধ হইতেছে, তাহা আরও বিস্ময়কর।” “বিস্ময়কর ব্যাপার ঘটে বলিয়াই ত আমরা বলি- অদৃষ্ট।” “সবই কপালে করে ; তবে কাহারও কপাল পাতার চাপা আর কাহারও क?ब्न 9iडibां9।” “ডাক্তার সাহেব” চুরুট টানিতে টানিতে বসি লেন, “তোমাদের কাহারও কপাল পাতার চাপা কাহারও কপাল পাতাচাপা । কিন্তু আমার কপাল এক দাম পর্বতচাপ-সেও আবার বিরাট হিমালয় পর্বত ।” পোষ্টমাষ্টার বাবু বলিলেন, “দাদা, আমাদেরই বা কোন বিন্ধ্যগিরি ? কাহারও উনিশ-কাহারও বা বিশ ; সবই সমান । সবই অন্ধকার ” “কেবল যতীশবাবুর পূর্ণিমা।” গৃহে ফিরিবার সময় যতীশচন্দ্রের কেবল কল্যাণীর কথা মনে পড়িতে