পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৩২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৯৪ আর্য্যাবর্ত্ত 8སོ--8ལོཤརྔ་I། ། যদি আমায় না বল, তাহা হইলে এখনই তোমার শিরশেছদ করিব ।” এই বলিয়া গিরণ কোশ হইতে তরবারি মুক্ত করিলেন। সে ব্যক্তি ভীত হইয়া বলিল,-“মহাশয় । ক্ষমা করিবেন, আমার কথা কহিবার অবসর নাই। আপনি বিদেশী দেখিতেছি, তাই বাসন্তী-বিজয় কি, জানেন না। সে এক বিরাট যুদ্ধ-ক্রীড়ার অভিনয় ; কালই হইবে। সেই যুদ্ধে যে সকল বীর যোগদান করিবেন, তঁহাদেরই এই সকল অস্ত্র-শস্ত্র । বর্ম্মের জন্য আপনাকে অন্যত্র চেষ্টা দেখিতে হইবে। অদূরেই রাজা আনিলের প্রাসাদ দেখিতে পাইবেন । তিনি এখন এ দেশের রাজা না হইলেও তথায় আশ্রয় ও বর্মান্দি পাইতে পারেন।” অতি দ্রুত এই কয়টি কথা বলিয়া লোকটি পুনরায় নিজ কার্য্যে মনোনিবেশ করিল। তৃতীয় পরিচ্ছেদ ।

  • Yveta 3

- তপন দেব তখন দিগন্তকোলে আশ্রয় গ্রহণ করিবার উপক্রম করিতেছেন । পাখীরা গাছের উপর কলরব করিতে আরম্ভ করিয়া দিয়াছে। প্রভাতে যে বিহঙ্গ-কুজন কুমারের কর্ণে অমৃত বর্ষণ করিয়াছিল, এখন তাহাই তাহার অত্যন্ত বিরক্তিকর বোধ হইতেছিল। সমস্ত দিন অনাহারে ও পথ-পর্য্যটনে তঁাহার শরীর এরূপ অবসন্ন হইয়া পড়িয়াছিল যে, তঁহার আর চলিবার ক্ষমতা ছিল না। কিন্তু তথায় তঁাহাকে কেহই আশ্রয় দিতে চাহে না দেখিয়া তিনি সেই ব্যক্তির নির্দেশ অনুসারে রাজা আনিলের প্রাসাদাভিমুখে ধীরে ধীরে গমন করিতে লাগিলেন। দিনের আলো মিলাইয়া আসিয়া যখন গোধূলির অল্পান্ধকারে পরিণত হইল, তখন গিরণ এক প্রাসাদবৎ প্রতীয়মান বৃহৎ জীর্ণ অট্টালিকার সম্মুখে ‘আসিয়া উপস্থিত হইলেন। দ্বারদেশের পুরোভাগে বৃদ্ধ শুভ্রকেশ রাজা অনিল পদচারণা করিতেছিলেন। হস্তদ্বয় পশ্চাদভাগে সংযুক্ত করিয়া ভূমিবিলগ্নিদৃষ্টিতে তিনি যেন কোন গভীর চিন্তায় মগ্ন ছিলেন। অশ্বের পদশব্দে তাহার চমক ভাঙ্গিলে তিনি সম্মুখে একজন অশ্বারোহী যুবক দেখিয়া