পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V8O আর্য্যাবর্ত । ৪র্থ বর্য-৪র্থ সংখ্যা । ঢাকিলেন। সন্ধ্যা হইয়াছে দেখিয়া প্রভার সখীরা একে একে হতাশ হইয়া বাড়ী ফিরিয়া গেল। উমাতারা এতক্ষণ তবু কতকটা অন্যমনস্কা ছিলেন, এখন এই নির্জন সন্ধ্যায় একা থাকা তাহার পক্ষে কষ্টকর হইয়া উঠিল। অনির্দিষ্ট অমঙ্গলের আশঙ্কায় তাহার বুক কঁপিয়া উঠিল। তিনি বৃক্ষপত্রের পতনশব্দে অথবা পলায়িত কোন শৃগালের পদশব্দে চমকিত হইয়া প্রভার পদশব্দ মনে করিয়া প্রাঙ্গণ পার হইয়া যাইতে লাগিলেন এবং কোথাও কিছু দেখিতে না পাইয়া দীর্ঘশ্বাস ত্যাগ করিয়া ফিরিয়া আসিতে লাগিলেন । এইরূপে অবসন্ন হইয়া হতাশ হৃদয়ে অপেক্ষা করিত্নে করিতে তাহার উচ্চতন্য প্রায় বিলুপ্ত হইবার উপক্রম হইল। এমন সময়ে বৃদ্ধ রামণরণ আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তাহার স্নানমুখ ও ক্ষীণ কণ্ঠস্বর হতাশার পরিচায়ক। ঈদৃশ অবস্থায় তাহাকে একাকী দেখিয়া প্রভাৱ অমঙ্গল আশঙ্কায় উমাতারা একান্ত ব্যাকুল হইয়া উঠিলেন । “বল, আমার LCLD DB BD BDDBBBD BD BD BB DBDDS DDD DDD uS DBBB BBB উমাতারা পড়িয়া যাইবার মত হইলেন। রামশরণ "তাহার হাত ধরিলেন এবং বলিলেন, “প্রভা ভালই আছে । বড় পরিশ্রম করিয়া আসিয়াছি। বড় যন্ত্রণা পাইয়াছি। একটু বসিতে দাও। সব বলিতেছি। শুন৷” তাহার পর যাহা যাহা ঘটিয়াছিল, তিনি একে একে সব বলিলেন ; কেবল প্রভার সহিত দেখা হয় নাই, সেইটি বলিলেন না। উভয়ের নয়নে জলধারা दईिड वांशिव । রামশরণ ও উমাতারা সে রাত্রিতে কিছুই আহার করিলেন না। রামশরণ বড় ক্লান্ত হইয়া আসিয়াছিলেন, কিন্তু তবুও তঁাহার নিদ্রা হইল না। তিনি বলিতে লাগিলেন, “এত কাল কঠোর সাধনা করিয়া, দীর্ঘ প্রবাসক্লেশ সহ করিয়া রমেশ আমার পরীক্ষা শেষ করিয়া বাড়ী আসিতেছে। সে প্রভাকে আনিবার জন্য পূর্বেই ২/৩ খানা পত্র দিয়াছে। রমেশ আসিয়া যখন প্রভাকে না দেখিবে, তখন সে কত ব্যথা পাইবে। কোন মুখেই বা তাহাকে এ সব বলিব ? না বলিয়াই বা কেমন করিয়া থাকিব ? মাতা-পিতার অপমান, ভগিনীর মর্ম্মাস্তিক যন্ত্রণা, এ সব সে কেমন করিয়া সহ্য করিবে ? হা ঈশ্বর, स्त्रांभांड्र कि भूछ् नांझे ?” রামশরণকে একাকী ফিরিতে দেখিয়া পাড়ার অনেক প্রাচীন বলিলেন, “আগেই তা বলেছিলুম, বড়লেখা দেখে দিচ্ছ ; শেষে তাল সামলাতে পাল্লে হয় ? গরীবের গরীব কুটুম্বই ভাল।”