পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৩৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র, SORO ፵‛ বসন্তে । । " VOGVO ". ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়াছিল। ক্রমে বাল্য যখন যৌবনে উপনীত হইল, বাল্যের ভালবাসা তখন যৌবনের প্রেমে পরিণত হইল। আমি আসামীকে ভালবাসিতাম। আমি জানিতাম, আসামী, আমাকে ভালবাসে। কয় গ্রামের আর কোন যুবক আমার ভালবাসা অর্জন করিতে পারে নাই। আমি জানিতাম, আর । কোন যুবতী আসামীর হৃদয়ে স্থান পাইবে না। “দুই বৎসর গেল। তৃতীয় বৎসর এক দিন-সেও এমনই বসন্ত কাল, এই তরুতলে আমাদের দুই জনে সাক্ষাৎ হইল। আসামী একাকী তরুতলে বসিয়া ছিল। আমি পাশ্ববর্ত্তী গ্রাম হইতে ফিরিতেছিলাম। তখন অপরাহে । রবিকর কোমল হইয়া আসিয়াছে।--দুরে গিরিনিবারের জল রবিকরে জ্বলিতেছিল-বাতাসে ফুলের গন্ধ-স্কুলে মধুপের ঝঙ্কার-বৃক্ষশাখায় বিহঙ্গের কুজন। আসামী আমাকে ডাকিল। আমি আসিয়া তাহার পার্শ্বে বসিলাম। আমরা স্থির করিলাম, আসামী পরদিন আমার পিতার নিকট আমাকে বিবাহ করিবার প্রস্তাব করিবে। গল্প করিতে করিতে আমরা জানিতে পারি নাই, সুর্য্য অস্ত গিয়াছে। আমরা পরস্পরের দিকে চাহিয়া আর সব ভুলিয়া গিয়াছিলাম। দুরে শৃগালের চীৎকারে আমি চমকিয়া চাহিলাম। আমি উঠিলাম। আমরা পরস্পরের মুখচুম্বন করিলাম। যাইতে আমি যতবার ফিরিয়া চাহিলাম, ততবারই দেখিলাম, আসামী আমার দিকে চাহিয়া আছে । “সেই রাত্রিতে লুটের ভাগ লইয়া দুই গ্রামে ঝগড়া বাধিল। সে ঝগড়া আজও মিটে নাই। সেই ঝগড়ায় আমাদের বিবাহের সম্ভাবনা দূর হইয়া গেল। আমি প্রতিদিন আশা করিতাম, ঝগড়া মিটিয়া যাইবে। কিন্তু আমার সে আশা পূর্ণ হইল না। হতাশার বেদনা আমাকে ব্যথিত করিতে লাগিল। কত যুবক আমার বিবাহপ্রাথী হইল। আমি বিবাহ করিলাম না। আমি সংবাদ রাখিতাম, আমার প্রণয়ীও বিবাহ করে নাই। 酶 “চার বৎসর কাটিতে চলিল, পাপ বিরোধ মিটাল না। আবার বসন্ত আসিল। সে দিন আমি এই পথে মেষ লইয়া যাইতেছিলাম। এই বৃক্ষের দিকে আমার দৃষ্টি পড়িল। এই তরুতল-আমাদের মিলন-তীর্থ-যেন অনতিক্রমণীয় আকর্ষণে আমাকে আকৃষ্ট করিতে লাগিল। আমি ধীরে ধীরে তরুতলে আসিলাম । --বসিলাম। অদূরে নিবারের জল রবি করে গলিত রাজতের মত জলিতেছিল ; R