পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৩৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র, ১৩২৬ ৷৷ KSČNg tec ( ( ) বিচারক মুগ্ধ হইয়া যুবতীর কথা শুনিতে ছিলেন। তিনি ইংরাজ কবির কবিতার আবৃত্তি করিলেন “যুদ্ধের প্রলয়-বাত্যা গরজে যখন তখনো ইহার স্থান--রাজ-সিংহাসন ৷” তিনি যুবতীকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি এই যুবককে বিবাহ করিতে চাহ ?” যুবতী দৃষ্টি নত করিল ; কিন্তু অকম্পিত কণ্ঠে বলিল, “হঁ।” তাহার স্বজনগণ যে স্থানে দাড়াইয়াছিল। সেই স্থান হইতে অস্ফুট--অর্ধীর

  • grt (?i河

বিচারক যুবককে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি যুবতীকে বিবাহ করিবে ?” যুবক বিচারককে সেলাম করিয়া বলিল, “ই।” বিচারক আদেশ দিলেন, চারি জন সশস্ত্র প্রহরী তাহাদিগকে পর্ব্বত পার করিয়া সহরে পৌছাইয়া দিবে। তাহারা রওনা হইবার সময় বিচারক তাম্বুর বাহিরে আসিয়া দাড়াইলেন। যুবক ও যুবতী পরস্পরের বাহুবদ্ধ হইয়া চলিল। প্রহরীরা পশ্চাতে চলিল । যুবকের গ্রামবাসীরা আনন্দধ্বনি করিল। পিঞ্জরাবদ্ধ ব্যান্ত্রের সন্মুখ দিয়া হরিণ পলাইলে তাহার নয়নে যে হিংস্রবৃষ্টি ফুটয় উঠে যুবতীর গ্রামবাসিগণের নয়নে সেই দৃষ্টি দেখা দিল । বিচারক দাড়াইয়া দেখিতে লাগিলেন, যুবক ও যুবতী হাসিতে হাসিতেগল্প করিতে করিতে যেন আনন্দালোক বিকীর্ণ করিতে করিতে যেন বসন্তী প্রকৃতির শোভা সুন্দরতর করিয়া চলিয়া গেল। তিনি তাম্বু তুলিয়া যাত্রার আয়োজন করিতে বলিলেন। তিনি ঘড়ীর চেনে বিলম্বিত লকেট তুলিয়া দেখিলেন। তাহাতেও একজন যুবতীর হাস্য ফুল্ল মুখের ছবি ছিল। বিচারকের নয়ন অশ্রুসিক্ত হইয়া উঠিল।