পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভাদ্র, ১৩২ ৷ গিরীশচন্দ্র ঘোষ। ... ৩৭৭ হওয়ায় গিরিশচন্দ্র ইহা বিক্রয় করিতে উদ্যত হইলে হরিশচন্দ্র ১৮৫৫ খৃষ্টাব্দের জুন মাসে স্বীয় ভ্রাতার নামে উহা ক্রয় করিয়া সম্পাদক ও স্বত্বাধিকারী হইলেন। কিন্তু গিরীশচন্দ্রের সহিত “পেটীয়টের’ ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ অক্ষুন্ন রহিল। ১৮৬১ খৃষ্টাব্দের ১৪ই জুন তারিখে হরিশচন্দ্রের মৃত্যু হইলে তদীয় জননীর ও পত্নীর সাহায্যকল্পে গিরিশচন্দ্র শম্ভুচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সহযোগিতায় পুনরায় ‘পেটিয়ট’ সম্পাদন করেন। প্রায় পাঁচ মাস পরে তিনি এই ভার ত্যাগ । করিলে নূতন স্বত্বাধিকারী কালীপ্রসন্ন সিংহ মহাশয় শম্ভুচন্দ্রকে সেই ভার দেন। ১৮৫৮ খৃষ্টাব্দে সিপাহীবিপ্লব-বহ্নি নিৰ্বাপিত হইলে ইংরাজ-সম্পাদিত সংবাদপত্রগুলি ভারতবাসীর কুৎসা-কথায় কলেবর পূর্ণ করিয়া সরকারকে প্রতিহিংসা লইতে পরামর্শ দিতে লাগিল। সেই সময় কয়জন দেশহিতৈষী <terials (53 Calcutta Monthly Review pig (23ifive a গিরিশচন্দ্র ইহার লেখক হইলেন। এই পত্রে জাতিগত বিদ্বেষসম্বন্ধে তাহার প্রবন্ধগুলি পাঠ করিয়া কোন ইংরাজ পত্রসম্পাদক। তঁহাকে প্রহার করিবার প্রস্তাব করিয়াছিলেন। তিনি জানিতেন না যে, বিশালবপু শক্তিধর গিরিশচন্দ্রকে প্রহাৱ করা সহজসাধ্য নহে । একত্র কাব্য করায় ও একই ভাবে অনুপ্রাণিত থাকায় বয়সের অনৈক্য সত্ত্বেও হরিশচন্দ্র ও গিরীশচন্দ্র উভয়ে গাঢ় ঘনিষ্ঠতা ও বন্ধুত্ব ছিল । উভয়েই স্বাধীনচেতা দেশহিতৈষী ও অত্যাচার অনাচার নিবারণকল্পে বদ্ধপরিকর ছিলেন। উভয়েই সুলেখক ছিলেন ; কিন্তু হরিশচন্দ্র গিরিশচন্দ্রের মত সুবক্তা ছিলেন না । তৎকালীন সমস্ত সভাসমিতির সহিত গিরিশচন্দ্রের সংস্রব ছিল । তখন ব্রিটিশ । ইণ্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েসন দেশের সর্বপ্রধান রাজনীতিক সভা। এই সভা সংস্থাপনের দুই বৎসর পরে ১৮৫৩ খৃষ্টাব্দে গিরীশচন্দ্র ইহাতে যোগ দেন। ১৮৬১ খৃষ্টাব্দে তিনি ইহার কার্য্যনিৰ্বাহক-সমিতির সদস্য হয়েন ও মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত ইহার সহিত সংসৃষ্ট ছিলেন । এই সভার সংস্রবে। তিনি বহুবার প্রতিনিধিমণ্ডলীমধ্যে রাজকর্ম্মচারীদিগের নিকট গমন করিয়াছিলেন। তখন রাজনীতিক আন্দোলনে যোগদান ভারতবাসী রাজকর্ম্মচারীর পক্ষে নিষিদ্ধ ছিল না। ‘হিন্দু পেট্টিয়টে”র প্রথম প্রবর্ত্তক গিরীশচন্দ্র ও হরিশচন্দ্র উভয়েই রাজকর্ম্মচারী ছিলেন। তখন মিলিটারী অডিট আফিসের অধীনস্থ কর্ম্মচারীরা সংবাদপত্রের সহিত সংসৃষ্ট হইয়া যশোলাভ করিলে প্রধান কর্ম্মচারীরা সন্তুষ্ট হইতেন। ডেপুটী মিলিটারী অডিটার জেনােরল কর্ণেল স্যাম্পানিজ বিলাতী।