পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ve, Soro, यानिनy । «EQS ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ । o পাণ-রক্ষা । আজ বাসন্তী বিজয় । সূর্য্যোদয়ের পূর্বেই ক্ষুদ্র শ্রীপুর নগরটি জাগিয়া উঠিয়াছে। প্রভাতেই ক্রীড়া আরব্ধ হইবে। রাজপথ সকল জনকোলাহলে মুখরিত। আবালবৃদ্ধবনিতা সকলেই এই যুদ্ধাভিনয় দর্শন করিবার জন্য চলিয়াছে। সকলেরই মুখে ব্যগ্রতা ও ঔৎসুক্যের চিত্ন । নগর হইতে কিঞ্চিৎ পুরে এক বিস্তীর্ণ প্রান্তরের উত্তর দক্ষিণে ক্রোশাৰ্দ্ধ স্থান জুড়িয়া যুদ্ধাঙ্গন প্রস্তুত হইয়াছে। উত্তর প্রান্তে এক বহুমূল্য সিংহাসন, অপর সীমায় যোদ্ধগণের প্রবেশপথ ; আর চতুদিকে বৃত্তাকারে দর্শকগণের বসিবার মঞ্চ। দূরদেশ হইতে আগত রাজা ও রাজকুমারগণের শিবির চারিদিকে বিক্ষিপ্তভাবে সন্নিবিষ্ট রহিয়াছে। পূৰ্বাকাশ যখন নবেদিত রবির কিরণজালে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিল, চতুর্দিকের মঞ্চ গুলিতে আর তিল ধারণের স্থান রহিল না। অগণিত লোক এই দৃশ্য দেখিতে আসিয়াছে। স্ত্রীলোকদিগের জন্য স্বতন্ত্র স্থান নিৰ্দিষ্ট হইয়াছে। রমণী-কুলকলঙ্ক বাসস্তীর গর্ব্ব চূর্ণ করিতে এবার কোন কোন বীর অগ্রসর হয়েন, সতী নারীগণের মর্য্যাদা এবার প্রতিষ্ঠিত হয় কি না, তাহা দেখিবার জন্য অসংখ্য পুরাঙ্গন সমবেত হইয়াছেন। তুর্য্যনিনাদ হইল। লোক-সঙ্ঘের মধ্যে চাঞ্চল্য দেখা দিল। যুদ্ধসজ্জায় সজ্জিত এক যুবক দৃপ্ত অশ্বে আরোহণ করিয়া অঙ্গন-মধ্যে প্রবেশ করিল। পার্থে ভিন্ন অশ্বে আরূঢ় বহুমূল্য পরিচ্ছদ ও অলঙ্কারে ভূষিত এক সুন্দরী রমণী। এই রমণীই বাসন্তী আর যুবকই এই প্রদেশের বর্তমান অত্যাচারী রাজা । আর কোথাও কোনরূপ শব্দ নাই। অঙ্গন-মধ্যে প্রবেশ করিয়া দুই জনই অশ্ব হইতে অবতরণ করিল ; এবং যুবক রমণীকে লইয়া গিয়া সিংহসনে বসাইল ; অতঃপর পুনরায় অশ্বারোহণপূর্বক মধ্যস্থলে দাড়াইয়া উচ্চৈঃস্বরে বলিল “আমি এই সিংহাসনোপবিষ্ট বাসন্তীকে সুন্দরী-শ্রেষ্ঠা বলিয়া