পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| আর্য্যাবত্তীর্ণ। 8ፋ ቐቑ,–¢ማ ጓኖማn ܮܘܼܘ ঘোষণা করিতেছি। যদি কেহ প্রতিবাদ করিতে প্রস্তুত থাকেন, আমি তঁহাকে যুদ্ধে আহবান করিতেছি।” তাহার কথা শেষ না হইতে না হইতেই দ্বার সন্নিকট হইতে গব্বিতকণ্ঠে উত্তর হইল-“দুর্ম্মতে, আমার নিকট দণ্ডায়মান এই নারী বাসন্তী অপেক্ষা সৰ্বপ্রকারে সহস্ৰগুণে শ্রেষ্ঠা !” সকলে সবিস্ময়ে চাহিয়া দেখিল দ্বারের পার্থে অশ্বের বয়া ধরিয়া দণ্ডায়মান রণসাজে সজ্জিত এক যুবকের মুখ হইতে এই নির্ভীক উত্তর বাহির হইল ; তঁহার পার্থে বৃদ্ধ রাজা অনিল কন্যা অনিন্দ্যার হস্ত ধরিয়া দাড়াইয়া ছিলেন । গিরণ আর কালবিলম্ব না করিয়া অশ্বপুষ্ঠে উঠিয়া উন্মুক্ত তরবারি করে অরাতির প্রতি ধাবিত হইলেন। ঘোর দ্বন্দ্ব যুদ্ধ আরব্ধ হইল। উভয়েই সমান যোদ্ধা ; কিছুক্ষণ কেহই অপরকে পরাজিত করিতে পারিল না। অবশেষে এক বিষম আঘাতপ্রাপ্ত হইয়া পাপিষ্ঠ অশ্বপূণ্ঠ হইতে ভূমিতলে পতিত হইল। গিরণও সেই মুহূর্ত্তে এক লক্ষে অশ্ব হইতে অবতরণ করিলেন, এবং তাহার বক্ষের উপর বসিয়া দৃঢ় স্বরে বলিলেন—“কাপুরুষ! এইবার তোর পরিচয় বল। তাহার পর এই তরবারি তোর বক্ষে বিদ্ধ করিয়া সেই অপমানের প্রতিশোধ লইব ।” উৰ্দ্ধোখিত কৃপাণহস্তে গিরণ যখন শত্রুর বক্ষের উপর আরূঢ়, কোমলহৃদয়া অনিন্দ্যাকে তখন পাপিষ্ঠের প্রাণরক্ষার জন্য অনুরোধ করিতে দেখিয়া রাজা অনিল কহিলেন- “সে কি, মা ; পাপাত্মা আমাদের কি পর্য্যন্ত না দুৰ্গতি করিয়াছে! তাহার প্রাণরক্ষার জন্য অনুরোধ!” কম্পিত্যকণ্ঠে কন্যা বলিলেন, ‘পাপীর শাস্তি ভগবান দিবেন ; আপনি উহাকে রক্ষা করুন।” তঁহার মুখে চক্ষুতে একটা অব্যক্ত বেদনার ভাব ফুটিয়া বাহির হইতেছিল। অনিল কন্যাকে প্রাণ অপেক্ষা ভালবাসিতেন ; তিনি তঁহার কন্যার আব্দার উপেক্ষা করিতে পারিলেন না, দ্রুতপদে গিয়া কুমারকে কন্যার অভিলাষ জানাইলেন। 辐 গিরণ কোন কথা কহিবার পূর্বেই তাহার করতলগত শত্রু উচ্চৈঃস্বরে বলিয়া উঠিল “না, না, আর আমি বঁাচিতে চাহি না। আমায় বধ করা। আমি আমার আশ্রয়দাতার সর্বনাশ করিয়াছি, আরও অনেক মহাপাপ করিয়াছি, আর আমার বঁচিবার প্রয়োজন নাই। আমার পরিচয় জানিতে