পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8so 可钉十丐1 ৪র্থ বর্ষ-৫ম সংখ্যা । হাসির সহিত মস্তকসঞ্চালনের দ্বারা তাঁহাই বুঝাইলেন। পিতাঠাকুর মহাশয়ের কিন্তু সে বিষয়ে মন আদৌ নাই। র্তাহার ভাবনা, দেনাপাওনার কোন কথাই হইতেছে না কেন ? অল্পক্ষণ পরেই আমার ভাবী শ্বশুর সেই ব্রাহ্মণ যুক্ত করে পিতাঠাকুর মহাশয়ের নিকট আমাকে সভাস্থ করিবার অনুমতি চাহিলেন । পিতাঠাকুর মহাশয় উত্তর দিবার পূর্বেই ভট্টাচার্য্য মহাশয় বলিলেন, “বিবাহ ত আমরা দিতেই আসিয়াছি ; পণের টাকাটা এই সময় মিটাইয়া দেওয়া হউক ৷” ভদ্রলোকদ্বয় সমস্বরে বলিলেন, “লগ্ন অতীত হইয়া যায়, বিবাহ সম্পন্ন *হইয়া যাউক, তাহার পর সকালে আপনাদের প্রাপ্য টাকাকড়ি মিটাইয়া লাইবেন ।।’’ ভট্টাচার্য্য মহাশয় একটু ইতস্ততঃ করিয়া বলিলেন, “তা-বেশ, তবেঅরণ রাখিবেন, পাত্রিপক্ষের পুরোহিত দ্বিগুণ পারিশ্রমিক পাইয়া থাকেন, সেটা কিন্তু বিবাহের সময়েই দেয়।” আর অধিক কথা হইল না ; আমার বিবাহ হইয়া গেল। " ( ܘ ) এইবার বাসরের কথা। আমার বাসরে তৃতীয় ব্যক্তি কেহই ছিল না। হুলুধ্বনি শুনিয়া যে দুই একটি পাড়ার মেয়ে অযাচিত ভাবে বিবাহ দেখিতে আসিয়াছিল, তাহারা বিবাহ সমাধা হওয়ার অব্যবহিত পরেই চলিয়া গিয়াছিল। বাসরের রঙ্গতামাসা অবস্থার উপর নির্ভর করে । তেমন অবস্থা না থাকাই ভাল! চিমটি কাটিয়া, কাণ মলিয়া, যে আমোদ সে আমোদ আমার মত কোন পাত্রই অনুমোদন করে না । যদিও আজ চারি বৎসর কাল লোক শুনিয়া আসিতেছে যে, সে সবে এই দশ বৎসরে পড়িয়াছে তথাপি আমার স্ত্রীর বয়স চৌদ্দ বৎসর। রূপসৌন্দের্য্য ক্লিওপেট্রা, নুরজাহান বা পদ্মিনীর সহিত তুলনীয়া না হইলেও আমার দৃষ্টিতে তাহাকে বড় সুন্দর দেখাইয়াছিল। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “তোমার নাম কি ?” মুখখানি নামাইয়া সে যেন কি ভাবিয়া নম্রতার সহিত উত্তর দিল, “হরিদাসী হরিদাসী! কেন, প্রভা, সুধা, সুষমা, অনুপমা আরও কত ভাল ভাল নাম থাকিতে এ নাম হইল কেন ? তবে সুনীলকুমারের কন্যার নাম