পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8>8 আর্য্যাবর্ত্ত । ৪র্থ বর্ষ-৫ম সংখ্যা । ਫਸਫ਼ਸ অষ্টাদশ শতাব্দীর রাষ্ট্ৰীয়-বিপ্লবে প্রাধান্য-প্রয়াসী ভূম্যধিকারিগণের মধ্যে বিক্রমপুরের অন্তৰ্গত শ্রীনগরের জমীদারবংশের স্থাপয়িতা লালা কীর্ত্তিনারায়ণ যথেষ্ট প্রতিষ্ঠা অর্জন করিয়াছিলেন। শ্রীনগরের লালাবাবুদিগের উদ্ধতন অষ্টমপুরুষ ৮াকৃষ্ণজীবন বসু তদীয় আবাসস্থান ইদিলপুর পরিত্যাগপূর্বক সপুরোহিত বিক্রমপুরস্থ বেজাগ্রামে আসিয়া বাস করেন। যে স্থানে ৬/কৃষ্ণজীবন বসুর ভদ্রাসন ছিল তাহ অদ্যাপি ‘বসুর বাড়ী” বলিয়া পরিচিত। কৃষ্ণজীবন চন্দ্রদ্বীপ কুলীন-সমাজের অন্তৰ্গত বঙ্গজ কুলীন কায়স্থ ছিলেন । কুলভ্রষ্টগ্রামে বসবাসহেতু এবং তৎকালীন সমাজ-নিয়ামক ঘটকদিগের সহিত মনোমালিন্য সংঘটিত হওয়ায় কৃষ্ণজীবন বসুকে কুলীন হইতে কুলজে নামিতে হইয়াছিল। বেজাগ্রাম কুলভ্রষ্ট কেন হইল তদ্বিষয়ের আলোচনা এ স্থলে অপ্রাসঙ্গিক হইবে না। দ্বাদশ ভৌমিকের অন্যতম ভৌমিক মহারাজ লক্ষ্মণমাণিক্য রাজা আদিশূরের অনন্তরবংশ বিশ্বস্তর শূরের বংশে জন্মগ্রহণ করেন। এই আদিশূর মৈথিল ক্ষত্রিয় বলিয়া পরিচিত এবং বঙ্গে সাগ্নিক ব্রাহ্মণ-স্থাপয়িত মহারাজ আদিশূর হইতে পৃথক ব্যক্তি ছিলেন। বিশ্বস্তরের তিন কি চারি পুরুষ অন্তর রাজা লক্ষ্মণমাণিক্যের অভু্যদয় হয়। বঙ্গদেশে থাকিয়া ক্ষত্রিয়ের সহিত আদান-প্রদান-সম্প্রদান সুকঠিন বিবেচনায়, লক্ষ্মণ কায়স্থ সমাজের সহিত সন্মিলন লাভের প্রয়াস পায়েন। এই সময়ে তিনি গাভার ঘোষ বংশের পূর্বপুরুষ পরমানন্দ ঘোষের সহিত আপনার এক তনয়ার বিবাহ দিয়াছিলেন । কিন্তু ঘোষ মহাশয় সন্ত্রীক নিজালয়ে প্রত্যাবর্ত্তন করিলে চন্দ্রদ্বীপ সমাজস্থ অপরাপর সামাজিকগণ র্তাহার সহিত সামাজিকতা করিতে স্বীকৃত হইলেন না । পরমানন্দ অনন্যেপায় হইয়া নবপরিণীত বনিতাসহ স্বদেশ পরিত্যাগ করিয়া পুনর্বার ভুলুয়াতে প্রস্থান করিলেন। এই সমুদায় বৃত্তান্ত অবগত হইয়া লক্ষ্মণমাণিক্য তৎপ্রতীক।ারমানসে বদ্ধপরিকর হয়েন এবং তাৎকালীন বঙ্গীয় কুলীন কায়স্থ-সমাজের দলপতিগণের নিকটে সাহায্য প্রার্থনা করেন। এই সময়ে বঙ্গীয় কায়স্থসমাজে চারিজন দলপতি ছিলেন। তন্মধ্যে চন্দ্রদ্বীপের রাজা কন্দৰ্পনারায়ণের পুত্র রাজা রামচন্দ্র, যশোহরের মহারাজা প্রতাপাদিত্য, বিক্রমপুরের কেদার রায় এবং ভুষণার মুকুন্দ রায় স্ব স্ব সমাজের অধিপতি