পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উড়িষ্যা হিন্দুর দেবক্ষেত্র। এই দেবক্ষেত্রে শৈব ও বৈষ্ণব উভয় ধর্ম্মমত প্রচারিত হইয়াছে—উভয় মতাবলমীদিগের মন্দির চূড়। গগন ভেঁঠু করিয়া দেবতার বৈজয়ন্তীরূপে দণ্ডায়মান রহিয়াছে। ভুবনেশ্বর ও चगंज्ञाएँ উড়িষ্যার উদার বক্ষে উভয়েরই স্থান হইয়াছে। দেখিয়া ভারতচন্দ্রের কথা। Aqr R 5 R演 s “হরি হর দুই মোরা অভেদ-শরীর। . অভেদে যেজন ভজে সেই ভক্ত ধীর ॥’ আবার এই উড়িষ্যায় যে সূর্য্যমন্দির ছিল, সমস্ত ভারতে তাহার তুলনা নাই। ভারতের সকল স্থান হইতে প্রতি বৎসর সহস্ৰ সহস্র হিন্দু দেবদর্শনের জন্য উড়িষ্যায় গমন করিয়া থাকে। - কিন্তু উড়িষ্যা কেবল হিন্দুর নিকট দেবক্ষেত্র। বিশ্ববাসীর নিকট উড়িষ্যা শিল্পক্ষেত্র। এই শিল্পক্ষেত্রে ভারতের ইতিহাসের অক্ষয় উপাদান সঞ্চিত কুহিয়াছে। আমরা প্রায়ই শুনিতে পাই, ভারতের ইতিহাস নাই। কিন্তু আমরা ভাবিয়া দেখিনা, যে জাতি অল্পকালস্থায়ী বৃক্ষপত্রে বা বৃক্ষত্বকে আপনার ইতিহাস লিপিবদ্ধ করে, ঐতিহাসিক হিসাবে সে জাতি দুর্ভাগ্য ; আর যে জাতি পর্বতে প্রস্তরে সে বিবরণ বিবৃত করে সে জাতি ভাগ্যবান। সুতরাং ঐতিহাসিক হিসাবে ভারতবাসীরা ভাগ্যবান। উড়িষ্যার গিরিগুহায় ও মন্দিরে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদানের প্রাচুর্য্যই পরিলক্ষিত হইবে । গ্রাণউইডেল তাহার ভারতে বৌদ্ধশিল্পবিষয়ক পুস্তকে निषिशांश्छन्नভারতবর্ষের বিস্তারের তুলনায় শিল্পকীর্ত্তির সংখ্যা অল্প। অনেক স্থানে মন্দিরাদি ভিন্নধর্ম্মাবলদীদিগের ঔদাস্য বা বর্বরতাহেতু বিনষ্ট হইয়াছে। যে সব স্থান জনহীন হওয়াতে মন্দিরাদি বিশ্বত হওয়ায় বিলুপ্ত হয় নাই, আর যে সব স্থানে প্রাচীন ধর্ম্মমতের প্রাধান্তলোপ হয় নাই--কেবল সেই সব স্থানেই আজিও মন্দিরাদি সুরক্ষিত অবস্থায় দেখিতে পাওয়া যায়। ] গ্রাণউইডেলের কথার যাথার্থ্য অস্বীকার করিবার উপায় নাই। ভারতে মঠ ভাঙ্গিয়া মন্দির এবং মন্দির ভাঙ্গিয়া মসজেদগঠনের দৃষ্টান্ত অনেক আছে।