পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ST, doRo † Tsfy 88s. নির্মিত হইয়াছিল অনেক লেখক তাহার আলোচনা করিয়াছেন। ভারতবর্ষে ষে বহুকাল পূর্বে লৌহের দ্রব্যাদি নির্ম্মিত হইত দিল্লীর বৃহৎ লৌহস্তম্ভই তাহার প্রক্লষ্ট প্রমাণ। " মুরোপ যখন অসভ্যতার অন্ধকারে আচ্ছন্ন তখন ভারতের যেরূপ লৌহস্তম্ভ নির্ম্মিত হইয়াছিল যুরোপে অল্পকাল পূর্বেও | সেরূপ লৌহস্তম্ভ নির্ম্মিত হইত না। উড়িষ্যার, কনার্ক মন্দিরের লৌহের কড়ির বিশ্লেষণ করিয়া গ্রন্থকার যে সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছেন গ্রন্থের ভূমিকায় মিষ্টার উডরফ তাহারই উল্লেখ করিয়া দেখাইয়াছেন—সেই প্রাচীন কালে উড়িষ্যায় যেরূপ লৌহের কড়ি নির্ম্মিত হইত। অৰ্দ্ধ শতাব্দী পূর্ব্বেও য়ুরোপে তদপেক্ষা উৎকৃষ্ট লৌহের কড়ি নির্ম্মিত হইত না । উড়িষ্যার স্থাপত্যে ইষ্টকের অধিক ব্যবহার নাই। তাহার এক কারণ, উড়িষ্যার মৃত্তিকা ইষ্টক নির্ম্মাণের পক্ষে বিশেষ উপযোগী নহে। মৃত্তিকার দোষে ইষ্টক কঠিন হয় না ; পরন্তু কোমলই হইয়া থাকে। কনার্কমন্দিরে প্রাপ্ত ইষ্টক অঙ্গুলীর চাপেই ভাঙ্গিয়া যায়। আবার ইষ্টকগুলি উত্তমরূপে দগ্ধও নহে, কতকটা “আমা”। বোধ হয় ক্ষোদিত করিতে হইবে বলিয়াই ইষ্টক উত্তমরূপে দগ্ধ করা হইত না। ইষ্টকগুলিকে অপেক্ষাকৃত দৃঢ় করিবার জন্য মৃত্তিকার সঙ্গে তুষ মিশান হইত। মিশরে, আসিরিয়ায় ও কালডিয়ায়ও এই জন্যই ইষ্টকের মৃত্তিকায় খণ্ডিত বা চুর্ণীত খড় ব্যবহৃত হইত। উড়িষ্যার ইষ্টক আকারে বৃহৎ-প্রায় ১৪০ বৰ্গ ইঞ্চ । বুদ্ধ গয়ার ইষ্টকের আকারও এই রূপ । কৰ্দমই ইষ্টকের গাথনিতে প্রেলেপরীপে ব্যবহৃত হইত। এই সকল মন্দিরে প্রস্তরগুলি এরূপ ঘনসন্নিবিষ্ট যে কোন মশল্পায়। শিল্পীরা পাতর এমন করিয়া গাথিয়াছিল। তাহা লইয়া অনেকে অনেক জল্পনা কল্পনা করিয়াছেন। গঙ্গোপাধ্যায় মহাশয় বলেন, উড়িষ্যার শিল্পীরা কোন রূপ, মশল্পার ব্যবহার করে নাই। প্রস্তরগুলি অতি যত্ন সহকারে কাটিয়া যথাস্থানে সন্নিবিষ্ট করা হইয়াছে। ভারকেন্দ্র স্থির রাখিয়া প্রস্তরগুলি এমন ভাবে সন্নিবিষ্ট যে সেগুলি সহজে স্থানচ্যুত হয় না। প্রস্তরগুলি অতি যত্নসহকারে কাটিয়া মসৃণ করার দুইখানি প্রস্তরের মধ্যবর্ত্তী অংশ কেশের মত সুন্ম দেখায়। উড়িষ্যার শিল্পীদিগের এই কৌশল বিশেষ প্রশংসাৰ্ছ’। কোন কোন মন্দিরের রক্তাভ বর্ণ দেখিয়া কেহ কেহ মনে করেন, সে সকল মন্দির রক্ত প্রস্তরে নির্ম্মিত। কিন্তু বাস্তবিক তাহা নহে। এই সকল ।

  • यायाम ‘जारीब6' जड़ेवा।