পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশ্বিন, ১৩২ ৷ শক্তি-সাধনা ৷ ৪৩৯ ৷ করিয়া যাইতেছে-তাহারা কেহই আমাকে তাহাকে চিনাইয়া দিতে পারে না। তবে উপায় ? উপায় কর্ম্ম। কর্ম্মেই বন্ধ হইয়া জীব সংসারে বার বার গতাগতি করি।-- তেছে, সুতরাং কর্ম্মের দ্বারাই কর্ম্মের নাশ করিতে হইবে। বিষের । দ্বারা বিষের ক্ষয় করা আবশ্যক। নিজের ইচ্ছামত অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিষ খাইলে রোগ হইতে মুক্তিলাভ করা যায় না। বিশ্বস্ত ভিষকের নির্দেশমতে শোধিত বিষ নিয়মমত সেবন করিতে হয়। যে কর্ম্মের দ্বারা। কর্ম্মবন্ধন ছিন্ন হয়, সে কর্ম্ম সিদ্ধ পুরুষগণ কর্তৃক শাস্ত্রে নির্দিষ্ট রহিয়াছে। সেই কর্ম্মই উপাসনা। রোগীর ধাতুভেদে যেমন ভিষিক্‌ বিভিন্ন ভেষজের ও তাহার মাত্রার ব্যবস্থা করিয়া দেন,-তেমনই উপাসকের প্রকৃতিভেদে উপাসনার বিবিধ পন্থী শাস্ত্রে নির্দিষ্ট আছে। সদগুরু শিষ্যের অধিকার বুবিয়া তাহার উপাসনা-পদ্ধতি নির্দিষ্ট করিয়া দেন। ’ তান্ত্রিকগণ বলিয়া থাকেন, মহামায়ার পূজা না করিলে,-সাধনায় বিশ্বমাতাকে বশীভূত করিতে না পারিলে পরব্রহ্মের জ্ঞান হয় না। জননীকে। ভাল করিয়া না চিনিলে জনককে চিনা যায় না। যে ব্যক্তি মায়ার সাগরে নিমজ্জিত, মায়ার ভিতর দিয়া না আসিলে সে কুল পাইবে কিরূপে ? সেই জন্য জীবকে মহামায়ার-বিশ্বপ্রসুতির-আদ্য শক্তির পূজা করিতে হয়। এই পূজায় বিশ্বপ্রকৃতিসম্বন্ধে জ্ঞান জন্মে—মহাশক্তির শক্তিসম্বন্ধে ধারণা জন্মে। চিন্ময়ীশক্তিসম্বন্ধে সম্যক্ জ্ঞান জন্মিলে ব্রহ্মজ্ঞান লাভ হইতে আর বিলম্ব থাকে না। সেই জন্যই মহাদেব পাৰ্বতীকে বলিয়াছেন,- “ LDB D D D DDBBD তত্ত্বজ্ঞানং বিনা দেবি তথা মুক্তির্নিজিায়তে। জল বিনা যেমন পিপাসার শান্তি হয় না, তত্ত্বজ্ঞান বিনা সেইরূপ মুক্তিলাভ হইতে পারে না। শক্তির উপাসনা সেই তত্ত্বজ্ঞান-লাভের প্রথম সোপান। পুজা ত্রিবিধ ;-তামসিক, রাজসিক ও সাত্বিক। অধিকারিভেদে উপাসনার ভেদ। শাস্ত্র বলিতেছেন- “ আগ্নৌ ক্রিয়াবতাং দেবো হৃদি দেবো মনীষিণাম। প্রতিমা স্বল্পবুদ্রিীনাং জ্ঞানিনাং সৰ্বতে হরিঃ। ক্রিয়াশীল ব্যক্তির দেবতা অগ্নিতে, মনীষাসম্পন্ন লোকের দেবতা হৃদয়ে,