পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৫৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫২২ আর্য্যাবর্ত্ত।। ৪র্থ বর্ধ-৬ষ্ঠ সংখ্যা! আকাশে মেঘ উঠিয়াছে। সন্ধ্যা ঘনাইয়া আসিতেছে। জলের উপর মৌণ প্রকৃতির গভীর চিত্র ফুটিয়া উঠিয়াছে। মাঝি জোরে নৌকা বাহিতে লাগিল। আমরাও লাগি ধরিলাম। : . . অন্ধকার গাঢ়তর হইল। চারিদিকে বিরাট নিন্তব্ধতা। ব্রজগোপাল । ৰলিল, “সুরেশ বাবু, কোথায় চলিয়াছি ? কিছুই ত দেখিতে পাইতেছি না।” মাৰি বলিল, “ভয় নাই, বাবু, ঠিক যাচ্ছি।” রাত্রি ঘনাইয়া আসিল ; গন্তব্যস্থান কত দূরে, কে জানে ? কিন্তু ক্রমশঃ অনুভব করিলাম, স্রোতের বেগ বাড়িতেছে, নৌকা দ্রুত চলিয়াছে। আশঙ্কা হইল, বাঁধের ভগ্নমুখে জলের স্রোত চলিয়াছে, বােধ হয় সেই স্রোতে আমরা পড়িয়াছি। বড় সুবিধার কথা নহে। ক্রমশঃ দামোদরের মধ্যে নৌকা পড়িলে এই অন্ধকার রাত্রিতে জীবনের আশঙ্কা নাই কে বলিল ? তখন নৌকাকে অন্য দিকে চালাইবার চেষ্টা করিলাম। আজ তারকেশ্বরে ফিরিবার আশা নাই। অৰ্দ্ধ দণ্ড পরে মনে হইল, জলের পরিমাণ ক্রমশঃ কমিয়া আসিতেছে। অদূরে অস্পষ্ট গ্রামের ছায়া যেন দেখিতে পাইলাম। কিন্তু দিগন্ত অন্ধকারে আচ্ছন্ন। তখন একটা বুদ্ধি যোগাইল। চীৎকার করিয়া বলিলাম, “কে কোথায় আছ গো ? খাবার এনেছি।” ... ? নিদ্রিত পল্পী মায়ামন্ত্রপ্রভাবে যেন সহসা জাগিয়া উঠিল! চারি দিক , হইতে ধ্বনি উখিত হইল, “কোথায় গো, মশায়রা ! এদিকে, এ দিকে !” ব্রজগোপাল বলিল, “ভারি ফন্দী বাহির করিয়াছেন, সুরেশ দা ?” * - আমি বলিলাম, “চুপ কর, মজা দেখ।” চীৎকার করিয়া বলিলাম, ‘আগে আলো জাল ; পথ দেখিতে পাইতেছি না।” কয়েক মুহূর্ত্তমধ্যে তিন চারিটি আলোক জলিয়া উঠিল। দেখিলাম, সত্যই একটি গ্রামের ধারে আসিয়াছি। জল সামান্য । অতি S DDD DB DBD DBDDD DBBBD SS M gBDDBD BBB ২. তুবিয়া গিয়াছিল বটে ; কিন্তু ক্রমশঃ জ্বল সরিয়া গিয়াছে।’ কিছু কিছু আহার্য্য বিতরণ করিয়া লোক-মুখে আগত হইলাম, নিকটেই গ্রামের মণ্ডলের বাটী ; নৌকাযোগে তাহার বাড়ীর কাছে যাওয়া যায়। আমরা ব্রাহ্মণ জানিয়া এক ব্যক্তি আলোক লইয়া আমাদিগকে মণ্ডলের

; আমাদের অনুমান সত্য। প্রায় অৰ্দ্ধ মাইল দূরে দামোদরের ভগ্নী বঁধ।