পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৫৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

❖ : " " " . •ዲሠ፡- ৫২৬ - ་སོniག་ཚུ།: sསོགསོམ་གྱི་ཤ་གT། ། বন্ধু সমাজে আমার একটা খোসনাম ছিল! দুর্ভিক্ষের রাজ্যে কয়দিন ঘুরিয়া ঘুরিয়া লোভটাও আজ বিশেষরূপে জাগিয়া উঠিয়াছিল। রসনা-তৃপ্তিকর বিন্ধি আহার্য্যের কল্পনা করিতে করিতে চলিলাম। গাড়ী ছটিয়া চলিয়াছে। শ্রীীরামপুরে গাড়ী থামিবামাত্র নামিয়া পড়িলাম। জুতা ও কোটি খুলিয়া ফেলিলাম ; গামছা যাহার কটিদেশে, জুতা ও কোট তাহার অঙ্গে নিশ্চয়ই শোভা পায় না। রাত্রি তখন ৮টা বাজিয়া গিয়াছে। আকাশে মেঘ। থম থম করিতেছে। অপূর্ব বেশে বন্ধু-গৃহে বৌভাতের নিমন্ত্রণ রাখিতে চলিয়াছিা! প্রকাণ্ড অট্টালিকা আলোকচিত্রিত, কলরবমুখর। বহিদ্বারে দরোয়ান পাগড়ী বঁাধিয়া বসিয়া আছে। এ বেশে, ভিতরে প্রবেশ-চেষ্টা কখনই সঙ্গত নহে ; অৰ্দ্ধচন্দ্র লাভের সম্ভাবনাই অধিক। বরং বাহিরে দাড়াইয়া থাকা যাউকৃ। বন্ধুবরের সহিত একটু রঙ্গ করা যাইবে। কি দুর্ভোগ! আবার টপ টপ করিয়া বৃষ্টি অরন্ধ হইল। একটু পরে জনৈক যুবক তাম্বুল চর্বণ করিতে করিতে বাহিবে আসিল। আমাকে তদাবস্থায় দেখিয়া বলিল, “কি চাও হে?” “চারটি ভিক্ষা ; নহে ত খানকয়েক লুচি।” - “এখন হ’বে না। আগে বাবুদের হয়ে যাক।” . যুবক চলিয়া গেল। দুনিয়াই এই রকম! শুধু বাহিরের বেশভূষায় মানুষের দর! ‘এডভেঞ্চার’ রীতিমত চলিয়াছে। ধনী পিতার একমাত্র বংশধর শ্রীসুরেশচন্দ্র বসু একখানি কাপড়ের অভাবে আজ ভিক্ষুকের দলে গিয়া পড়িয়াছে। আমার পার্শ্ব দিয়া নিমন্ত্রিতগণ একে একে ভিতরে প্রবেশ করিতেছিলেন। অকস্মাৎ বন্ধুর চিরপরিচিত মুক্তি দেখা গেল। তিনি সকলের দিকে চাহিতে চাহিতে বাহিরে আসিলেন। আমি পার্থে সরিয়া দাড়াইলাম। বন্ধু চারিদিকে আগ্রহভরে চাহিতেছিলেম। প্রথম দৃষ্টিপাতে আমাকে সম্ভবতঃ চিনিতে পারিলেন না। বাহিরের উজ্জ্বল আলোকে অধিকক্ষণ : আত্মগোপন সম্ভব নহে। বন্ধু আরও নিকটে আসিয়া তীক্ষ দৃষ্টিতে আমার দিকে फ्रांशिा बणिप्शन, “cक ?” পরমুহুর্তে দৃঢ় বাহু পাশে আমি বন্ধ হইলাম। “সুরেশ! এ কি বেশ ? ব্যাপার কি ?” আমি বলিলাম, “নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে আসিয়াছি।”