পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so o8oma অনুপ্রাস ॥ঞ্জ সংস্কৃত আলঙ্কারিকগণের বিধান-ব্যঞ্জনসাম্যে অনুপ্রাস হয়। ইংরাজীতে । স্বরসাম্য ও ব্যঞ্জনসাম্য উভয়ই দেখা যায়। অনুপ্রাসের ব্যবহার প্রাচীন । সাহিত্যে যথেষ্ট ছিল, আজ কালও দেখা যায় । অনুপ্রাসে রচনায় মাধুরী সঞ্চারিত হয়। গ্রন্থকার বলিয়াছেন, “এক সময়ে, শুধু আমাদের সাহিত্যে । কেন, সকল দেশের সাহিত্যেই, অনুপ্রাসের খুব চলন ছিল। এখন ইহা । অনেকের মতে সেকেলে হইয়া পড়িয়াছে। • • • সূক্ষ্মদৰ্শী বঙ্কিমচন্দ্র ঈশ্বর গুপ্তের কবিতা-সমালোচনা-প্রসঙ্গে এ বিষয়ে যাহা বলিয়াছেন, তাহাই এ : সম্বন্ধে শেষ কথা। এক কথায় বলিতে গেলে, রন্ধনে লবণ না থাকিলে যেমন । ব্যঞ্জন সুস্বাদু হয় না, অথচ মাত্রা অধিক হইলে অখাদ্য হয়, অনুপ্রাসও সেইরূপ পরিমিত প্রয়োগে রচনার সৌন্দর্য্য-সাধন করে, ভূরি পরিমাণে প্রযুক্ত হইলে কর্ণপীড়া উৎপাদন করে।” প্রমাণস্বরূপে বলা যাইতে পারে, আমাদের পন্তে দাশরথি ও গদ্যে ঠাকুরদাস মুখোপাধ্যায় অনুপ্রাস প্রয়োগে বাড়াবাড়ি করিয়া । রচনার সৌন্দর্য্য ক্ষুন্না করিয়াছিলেন ; আর ভারতচন্দ্র ও মধুসূদন তাহার | পরিমিত প্রয়োগে রচনার সৌন্দর্য্য শতগুণে বন্ধিত করিতে পারিয়াছিলেন । , আমাদের বিশ্বাস, মধুসূদনের রচনায় সুপ্রযুক্ত অনুপ্রাসের গুণে র্তাহার রচনা ৷ সহজেই স্মৃতিতে মুদ্রিত হইয়া যায়। রবীন্দ্রনাথও অনুপ্রাসের অলঙ্কারে রচনা । সুসজ্জিত করিতে বিরত হয়েন নাই। বাস্তবিক অনুপ্রাস ভাষাতত্বের একটি কৌতুকাবহ রহস্য। অনেকে বিশ্বাস, অনুপ্রাস জিনিষটা নিতান্ত কৃত্রিম, সর্ব্বসাধারণের স্বাভাবিক ভাষার সহিত অনুপ্রাসের সম্পর্ক অত্যন্ত অল্প। কিন্তু ললিত বাবু দেখাইয়াছেন,- “ “শুধু সাধু ভাষায় নহে, সাধারণ কথাবার্ত্তার ভাষায়ও অনুপ্রাসের অনুপাত কম নহে। এক কথায়, অনুপ্রাস ভাষা-শরীরের অছেদ্য অঙ্গ। ভাষাগঠনে 球 অনুপ্রাস—শ্রীললিতকুমার বন্ধ্যোপাধ্যায় বিদ্যারত্ব वगैठ-७५ न९ কলেজ 茹, কলিকাতা-হইতে ভট্টাচার্য্য এণ্ড সন্স কর্তৃক প্রকাশিত। মুল্য আট আনা।