পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (চতুর্থ বর্ষ).pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩২০ ৷৷ माङिा-मािव्लका ] ভাবসম্পদে পুষ্ট হ'ষ্টলে তাহার ভঙ্গী তেমনই পরিবর্ত্তিত হইয়া যায়। গঙ্গোত্তরীতে ভাগীরথীর তরঙ্গভঙ্গী যেরূপ, সাগরসঙ্গমে সেরূপ নহে । বিবিধ উপনদী। যেমন বিভিন্ন দিক হইতে নদীর সহিত মিলিয়া উহাকে পরিপুষ্টা করে, ভাষাকেও তেমনই নানাদিক হইতে ভাব ও শব্দ:রাশি আসিয়া পরিপুষ্টা করিয়া তুলে। উপনদীগুলি যেমন মূল নদীর ভঙ্গীকে প্রভাবিত করে, সেইরূপ বিভিন্ন উৎস হইতে উৎসারিত ভাব রাশি আসিয়া ভাষা ও সাহিত্যের ভঙ্গীকে প্রভাবিত করিয়া তুলে। সকল দেশের ভাষার ও সাহিত্যের ইতিহাস এই সাক্ষ্যই প্রদান করিতেছে। সংস্কৃত ভাষাই ভারতের প্রায় সমস্ত ভাষায় মাতামহী । সংস্কৃত হইতে প্রাকৃত, প্রাকৃত হইতে পালি, বাঙ্গলা, উড়িয়া, হিন্দী, গুজরাটী, উর্দু, মারহাট, প্রভৃতি ভাষা জন্মিয়াছে। এই সকল ভাষার ও সাহিত্যের ধারাবাহিক ইতিহাস পাইবার উপায় নাই! তবে ইহা স্পষ্টই প্রতীয়মান হয় যে, বাহির হইতে ভাব ও শব্দ রাশি আসিয়া প্রত্যেক ভাষাকে স্বতন্ত্র ভঙ্গী দিয়াছে । তাই মহারাষ্ট্রীয় ভাষার ভঙ্গীর সহিত বাঙ্গালা ভাষার ভঙ্গীর সাদৃশ্যের মধ্যেও বৈসদৃশ্য বর্ত্তমান। অতঃপর ভাষার প্রাণের কথা । সাহিত্যাচার্য্য সরকার মহাশয় যথার্থই বলিয়াছেন,-“ভাষা শরীরের অভ্যস্তরে একটি প্রাণ পদার্থ আছে, সেইটি বাঙ্গালীর মত হইলে তবে বাঙ্গালীর উপযোগী ভাষা হয়।” আমরা সরকার মহাশয়ের এই উক্তি মাথা পাতিয়া লইতে প্রস্তুত। সত্য সত্যই “ভাষা প্রাণের জিনিষ ।” কিন্তু সেই প্রাণের অনুসন্ধানে সরকার মহাশয় আমাদিগকে এক জটিল গোলক ধাধায় লইয়া গিয়াছেন, ইহাতেই আমরা দুঃখিত। তঁহার তিনটি প্রাণের কথা। আমরা আলোচনা করিব না। তিনি বলিয়াছেন, বর্ত্তনাম যুগে ব্রাহ্মণের প্রাণ নাই,-ক্ষত্রিয়ের প্রাণ BYSgLKD K DDSATuDBBD OKS BDBB BB OLDSS OLSDD কেবল শস্যোৎপাদক কৃষকের হস্তে ।” সরকার মহাশয় বলিয়াছেন যে, যাহাদের প্রাণ আছে, তাহদের সেই প্রাণ হইতে প্রবাহিত ভাষা লইয়া সাহিত্য গঠিত করিতে হইবে। এই চাষার ভাষা লইয়া আমাদের সাহিত্য রচনা করিতে হইবে। নতুবা সাহিত্যে প্রাণ থাকিবে না। অর্থাৎ সাহিত্যে প্রাণ সঞ্চারিত করিতে হইলে ওরে রামশশী যদি কঁ্যাটাল খাবি, বিচিগুনে রাগগে বা তুলে