পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ).pdf/১৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

à88 আর্য্যাবর্ত্ত । ७श य6-२शू ज९२T । এইরূপ অবস্থায় যখন ধরণীধরের ছুটী ফুরাইয়া আসিল এবং তিনি কর্ম্মস্থলে গমনের উদ্যোগ করিতে লাগিলেন, তখন যতীশচন্দ্রের পরীক্ষার ফল বাহির হইল।। যতীশচন্দ্র পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে পারে নাই । এ সংবাদে যতীশচন্দ্র বিচলিত হইল না । সে জানিত, তাহার সাফল্যের সম্ভাবনা ছিল না-কারণ সে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিদিষ্ট পাঠ তাহার সাহিত্যিক প্রতিভার পক্ষে অনুকুল নহে মনে করিয়া তাহাতে যথেষ্ট উপেক্ষা প্রদৰ্শনই করিয়াছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া যে তাহার পক্ষে একান্ত অনাবশ্যক অমূল্যচরণের চেষ্টায় এই ধারণা তাহার মনে বদ্ধমূল হইয়াছিল। তাই এই অসাফল্যে সে বিচলিত হইল না। যতীশচন্দ্র বিচলিত হইল না বটে, কিন্তু ধৰণীধর অত্যন্ত বিচলিত ও কাতর হইলেন । তিনি পুত্রের সাফল্যের সস্তাবনা অতি অল্প জানিয়াও আশা ত্যাগ করিতে পারেন নাই ; তাহার প্রধান কারণ, তিনি মনে করিয়াছিলেন, পরীক্ষায় সাফল্য লাভ করিলে পুত্রের শিক্ষার যেরূপ ব্যবস্থা করিবেন তাঁহাতে সে তাহার সাহিত্যিক বন্ধু সমাজ হইতে বিচ্যুত হইবে। সেই বন্ধুদিগের নিকট হইতে দুরে যাইলে সে তাহাদিগকে যত ভূলিৰে তাহার হৃদয়ে দাম্পত্য প্রেমের প্রভাব ততষ্ট প্রগাঢ় হইবে ; আশঙ্কাৱা ৰূকারণ ততই দূর হইবে। এই আশায় তিনি কতকটা নিশ্চিন্ত হইয়া ছিলেন। এখন আর সে আশার অবকাশ রহিল না !! আর সঙ্গে আশঙ্কার ছায়া ঘনীভূত হইয়া উঠিল। এ দিকে ছুটী ফুরাইয়াছে । আর বিলম্ব করিবার উপায় নাই। একবার তিনি ভাবিলেন, পুত্রকে আর পড়িতে, দিবেন না, তিনি যে সঞ্চয় করিয়াছেন—তাহাতে তাহার দিনপাতে কষ্ট হইবে না। কিন্তু জ্ঞানপিপাসাতুর ধরণীধর সে চিন্তায় সুখ পাইলেন না। তিনি ভাবিলেন-পুত্রের জ্ঞানার্জন অর্থে পাৰ্জনের জন্য নহে-চিত্তের প্রসারবৃদ্ধির জন্য। এ অবস্থায় সে কেন অধ্যয়ন বন্ধ করিবে ? ধরণীধরের ঠিকে ভুল হইল। তিনি যদি পুত্রকে আর বিদ্যালয়ের নিদিষ্ট পাঠে নিযুক্ত না করিতেন—তবে সে পরম পুলকিত হইত। সে সাহিত্য-চৰ্চায় মন দিত।--হয় তা সাফল্য লাভ ও করিতে পারিত। বিশেষ তিনি যদি নিকটে থাকিতেন ও বধূকে নিকটে রাখিতেন। তবে তঁাহার স্নেহদ্বিন্ধ প্রভাবে ও পত্নীর প্রেমে সে ক্রমে গৃহকেই জীবনের কেন্দ্র করিয়া