পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ).pdf/১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩১৯৷৷ পাষণের কথা তখন তাহার দ্রুতবেগে পলায়নের ক্ষমতা নাই } অনুমান হইল, বহুক্ষণ হইতে এবং বহুদূর হইতে কেহ যেন তাহাকে তাড়না করিয়া আনিয়াছে। বহু কষ্টে ব্র্যাঙ্গুটি নিকটবর্ত্তী বেতসকুঞ্জে আশ্রয়গ্রহণ করিল এবং তাহার পরীক্ষণেই বনমধ্য হইতে লৌহবর্ম্মাবৃত একটি বৃহৎ হস্তী নিৰ্গত হইল। তাহার স্কন্ধে হস্তিপক ও পৃষ্ঠে যোদ্ধ বেশে জনৈক বৃদ্ধ ও একটি বালক। মুদ্রাণে ব্যান্ত্রের অবস্থান অবগত হইয়া লৌহমণ্ডিত হস্তী ধীরে ধীরে বেতসবনের সম্মুখে দণ্ডায়হইল। বেতস লতার একটি অঙ্গুলি ঈষৎ কম্পিত হইল। অমনই বালকের ܕܘܼܒ݂ܠ হস্তনিক্ষিপ্ত শার ব্যান্ত্রের কণ্ঠে আমূল বিদ্ধ হইল। আর্ত্ত চীৎকারে বনভূমি প্রকম্পিত করিয়া এক লম্বেন্ধ ব্যাঘ্র বেতসকুঞ্জ উত্তীর্ণ হইয়া অশ্বখবৃক্ষতলে পতিত হইল ও মুহূর্ত্তমধ্যে প্রাণত্যাগ করিল। হস্তিপক হস্তীকে উপবেশন করিতে আদেশ করিল ; কিন্তু বেত্রিলতায় আচ্ছাদিত স্তু পবেষ্টনীর ভয় স্তম্ভে আঘাত প্রাপ্ত হইয়া হস্তী উপবেশন করিতে পারিল না,-কিয়দুর অগ্রসর হইয়া উপবেশন করিল। বৃদ্ধ ও বালক হস্তিপৃষ্ঠ হইতে অবতরণ করিয়া মৃত ব্যান্ত্রের নিকট গমন করিলেন। উল্লাসে বালক শার্দ্দলের দীর্ঘ দেহ হস্তীর নিকট আনয়ন করিরার উপক্রম করিল ; কিন্তু বৃদ্ধ তাহাকে নিষেধ করিালেন। বালকের উল্লাস প্রশমিত হইল না ; ব্যান্ত্রের দেহ লইয়া বালক ক্রীড়া করিতে আরম্ভ করিল। তাহার জীবনে এই প্রথম শার্দ্দলহনন। সে দেখিতেছিল, তাহার শার ব্যান্ত্রের কণ্ঠে আমূল বিদ্ধ হইয়া হৃৎপিণ্ড ভেদ করিয়াছে। বৃদ্ধ তখন পশ্চাৎপদ হইয়া বেতসকুঞ্জে বারণের পদস্থলনের কারণ অনুসন্ধান করিতেছিলেন। বেতসলতায় আচ্ছাদিত হইয়া প্রাচীন স্তুপবেষ্টনীর স্তন্ত লুক্কায়িত ছিল। সূচীবৎ তীক্ষ ভগ্ন পাষাণের অগ্রভাগ উপবেশনকালে হস্তীর পশ্চাৎদেশে বিদ্ধ হওয়ায় যাতনায় হস্তী উপবেশন করিতে পারে নাই। তিনি শূলের দণ্ডে বৈতসলতা অপসৃত করিয়া পাষাণখণ্ড দর্শন করিলেন। বৃদ্ধের মুখমণ্ডল গম্ভীর ভাব ধারণ করিল ; তিনি চিত্রান্ধিতের ন্যায় শূলহস্তে বেতসকুঞ্জমধ্যে দণ্ডায়মান রহিলেন। হৰ্ষোৎফুল্প বালক পিতাকে উচ্চৈঃস্বরে আহবান করিতেছিল ; সে আহবান তাহার কর্ণগোচর হইল না। বালক বিরক্ত হইয়া বৃক্ষতল হইতে বেতসকুঞ্জে দৌড়াইয়া আসিল, পিতার হস্ত ধরিয়া আকর্ষণ করিল, কিন্তু পরীক্ষণেই তাহার, মুখের ভাব দর্শন করিয়া পশ্চাৎপদ হইয়া ধীরে ধীরে বৃক্ষতলে প্রত্যাবর্ত্তন করিল। এই ভাবে দিন অতীত হইল। বালক ব্যাস্ত্র লইয়া গৃহে ফিরিবার জন্য ব্যস্ত হইল, গুরু