পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ).pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

था, २७४० ! পাষাণের কথা । なや、 মুখে প্রত্যাবর্ত্তন করিল। সন্ধ্যাগমে প্রাচীন রীতি অনুসারে স্তুগি ও বেষ্টনী আলোকমালায় সজিত হইল, নাগরিক ও নাগরিকগণ ইতস্ততঃ পরিভ্রমণ করিতে লাগিলেন । বুদ্ধ, বোধিসত্ত্ব ও শক্তিগণ যথাসাধ্য সজ্জা করিয়া তঁহাদিগের সহিত মিশ্রিত হইতে লাগিলেন। তখন প্রতীহার ও নগর রক্ষিগণ পথ রক্ষা করিতেছিল। প্রথম প্রহর অতীত হইলে উৎসবস্রোত মন্দীভূত হইল। শ্রুত হইল, জনৈক বুদ্ধ কোন তরুণী নাগরিকার অঙ্গে হস্তক্ষেপণের জন্য তাহার স্বামী কর্তৃক আহত হইয়াছেন ; একজন বোধিসত্ত্ব জনৈক নাগরিকের কন্যাকে প্রব্রাজ্য গ্রহণ করাইয়া রজনীর অন্ধকারে প্রস্থান করিয়াছেন, রক্ষিগণ তঁহাদিগের অনুসন্ধানে নিৰ্গত হইয়াছে ; কয়েকজন ভিক্ষু বেষ্টনীর মধ্যে অর্থাপহরণ করায় মহাপ্রতীহার কর্তৃক শৃঙ্খলাবদ্ধ হইয়াছে ; কয়েকজন ভিক্ষু, শক্তি ও শিস্য বিপণী হইতে বিনামূল্যে দ্রব্য গ্রহণ করায় মহাপ্রতীহার কর্তৃক চৌর্য্যাপরাধে অভিযুক্ত হইয়াছে। ইহাদিগকে নগরে প্রেরণ করিতে হইবে ও দণ্ডপাশিক ও দণ্ডনায়কগণ কর্তৃক ইহাদিগের বিচার হইবে । কতকগুলি মহিলা সজন্য পরিত্যাগ করিয়া নাগরিকগণের আশ্রয় গ্রহণ করায় তাহাদিগের অধিকারী বোধিসত্ত্ব ও বুদ্ধগণ মহাপ্রতীহারের নিকট বিচার প্রার্থনা করিয়াছেন। রজনীর দ্বিতীয় প্রহর অতীত হইলে বেষ্টনী জনশূন্য হইল, তখনও আসববিক্রেতাব্দল পণ্যশালা বন্ধ করে নাই, ভিক্ষুগণ মধুর সাহায্যে নিৰ্বাণের অৰ্দ্ধপথ অতিক্রম করিয়াছেন ; চলচ্ছক্তিহীন স্ত্রী ও পুরুষগণকে রক্ষিদল বহন করিয়া লইয়া যাইতেছে, কাহাকেও বা নাগরিকগণ পদাঘাত করিতেছে। রজনীর তৃতীয় প্রহাণু অতীত হইলে দীপসমূহ নিৰ্বাপিত হইল, তখন রক্ষিদল ব্যতীত অপর সকলে স্তুপসান্নিধ্য পরিত্যাগ করিয়াছে। প্রত্যুষে সম্রাট ও যুবরাজ অতি অল্পসংখ্যক অনুচর লইয়া শিবির পরিত্যাগ” করিলেন। উৎসব শেষ হইল । শ্রীরাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।