পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ).pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

YAR আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ-৩য় সংখ্যা । নেশা টুটিল, স্বপ্ন ছুটিল। সে ক্ষুদ্র কথার এমন কি শক্তি ? সে কথা পরে ब्रि:उछ् ि। 雷 * * 谭 তখন গোধূলি ; দিগন্তস্পৰ্শী নিম্প্রতি তপনের সুবর্ণীকরণ বক্র ভাবে পতিত হইয়া বৃক্ষশীর্ষ, গুহচুড়া, পর্ব্বতশিখর, অদূরস্থিত স্বল্পাতোয় স্রোতািন্বতীব্যক্ষ সুবর্ণরাগে রঞ্চিত করিয়াছে। দীপ যেমন নিবিবার পুৰ্পে জ্বলিযা উঠে, তেমনই তমসাচ্ছন্ন হইবার পূর্বে বসৃপা সুন্দরী যেন একবার মুনিজন মনোলোভা রক্তিমরাগে উজ্জ্বলে মধুর হাসি হাসিয়া লইতেছিলেন। চিরবসন্ত-বিরোজিত ওয়ালটেয়ার ষ্টেশনের প্লাটফর্ম্মে দী : ডুবাইয়া জনৈক বন্ধুসহ কলিকাতা তইতে আগত মাদ্রাজ মেলের আগমন প্রতীক্ষা করিতেছিলাম। অল্পদুরুস্থিত সমূদ্র চুম্বিত সুগশীতল মৃদু পালন শ্রান্তি ক্লাগি হরিণ করিয়া, সন্তাপ প্রশমিত করিয়া মানব-হৃদয়ে বিশ্রামের এক অপূর্ব সুখস্বপ্ন জাগাইয়া তুলিতেছিল । গাড়ী আসিয়া পৌছিবার কিঞ্চিৎ বিলম্ব ছিল, তাই বহিঃসৌন্দর্ঘ্যের প্রতি ক্ষণিকের জন্য আকৃষ্ট হইয়াছিলাম। সেই স্তব্ধ স্নিগ্ধ প্রকৃতির মনোলোভা অনন্ত লাবণ্য, যাহার অনুভূতি আছে সে উপভোগ না করিয়া থাকিতে পারে না । কিছুক্ষণপারে ট্ৰেণ আসিল। দ্বিতীয় শ্রেণীর “রিজার্ভ” প্রকোষ্ঠ হইতে এক স্বারস্বত ক্ষত্রিয় যুবক কিশোৰী ভগিনীর হাত ধরিয়া নামিয়া আসিলেন। আমরা তঁহারই প্রতীক্ষা করিতেছিলাম। পশ্চাতে তঁহাদের বর্ষীয়সী। জননী প্রবীণ পরিচারিকার সতিত ঘুম হইতে অবতরণ করিলেন। সেই গোধূলির রক্তিম সুর্য্যের কনককিরণে পরিণতাবয়ব যুবকের তেজোদীপ্ত মুখমণ্ডল উজ্জ্বলতর দেখাইল ;-সেই অনিন্দ্যসুন্দরী কিশোরীর স্নেহসিন্ধ, কুসুম পেলাব, কামনায় মুখখানিতে হেমকিরণ ছটা প্রতিফলিত হইয়া বড় সুন্দর দেখাইল । তাহাতে চাঞ্চল্য নাই, চপল তা নাই ; কৌশল নাই, কুটিলতা নাই , স্থির, ধীর, সন্ধ, রম্য, ক্রমবৰ্দ্ধনশীল স্ফুটনোমুখ যৌবনপ্রতিভা । বন্ধু তাহদের পূর্বপরিচিত ; আঙ্গুলিসঙ্কেতে দেখাইলেন,-“দেখুন, মূর্ত্তিমান সরলতা মূর্ত্তিমতী মাধুরীসংঘভিব্যাহারে দাক্ষিণ্য পরিচালিত হইয়া কোন এক গৃঢ় উদ্দেশ্যসাধন করিতে এই স্বাস্থ্য-তীর্থে আসিয়া উপনীত হইলেন।”