পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ).pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩১৯ । । অদৃষ্ট-চক্র & O তাহার যৌবনের স্বপ্ন—তাহার জীবনের সর্বস্ব-তাহার হৃদয়ের দেবতাতাহার বাঞ্ছিত-তাহার উপাসিত স্বামীকে এ দুশ্চিন্তার কথা বলিবার জন্য অত্যন্তু ব্যাকুল হইয়া উঠিয়াছিল। কিন্তু সে সে কথা বলিবার অবসর পায় নাই। সরোজার বিবাহের পরদিন-বর ও বরযাত্রীদিগের সঙ্গে সঙ্গেই ব্রজেন্দ্র গৃহে ফিরিয়াছিল। সে জানিত, তাহার জননী সংসারে একমাত্র সম্বল পুত্রকে ছাড়িয়া থাকিতে পারেন না। তাই সে কখনও*গুহ ছাড়িয়া থাকিতে চাহিত না। সে ফিরিয়া গিয়াছিল। বিরাজা তাহার দুশ্চিন্তারআশঙ্কার কথা স্বামীকে জানাইতে পারে নাই। এ কয় দিন তাহার মনের কথা মনে থাকিয়া মনকেই ব্যথিত করিতেছিল। অতর্কিত আশঙ্কার তীব্রতা হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে বিরজার মনে আশার সঞ্চারও যে না হইয়াছিল এমন নহে। সে বহুবার মনকে বুঝাইতে চাহিয়াছে।--হয় তা সে ভ্রান্ত। কবে দূর হইতে মুহূর্ত্তের জন্য সে যুবকদিগকে দেখিয়াছিল-( সে ত একবারের অধিক তাহাদিগের দিকে চাহে নাই। ) সুতরাং তাহার। ভ্রম হওয়া অসম্ভব নহে। আশার ও আশঙ্কার ছায়ালোক এ কয় দিন তাহার হৃদয়ে খেলা করিয়াছে। আজ যতীশ উপস্থিত। যতীশ যখন জলযোগের জন্য অন্তঃপুরে আসিল-তখন বিরজা আবার ভাল করিয়া তাহাকে লক্ষ্য করিল। এ মুখ সে পূর্বে দেখিয়াছে। হৃদয়ে আশার আর অবকাশ রহিল না-আশঙ্কা তথায় স্থায়ী হইয়া উঠিল। সেই দিন সন্ধ্যায় ব্রজেন্দ্র শ্বশুরালয়ে আসিল ; পরদিন পত্নীকে স্বগৃহে লইয়া যাইবে। বিরাজা জানিত, ব্রজেন্দ্র আসিবে। যে কথা তাহার মনে গুৰু ভারের মত ছিল তাহা স্বামীকে বলিবার জন্য প্রবল ব্যাকুলতা আজ তাহার স্বামীসন্দর্শনব্যাকুলতাকে যেন দ্বিগুণ করিয়া তুলিয়াছিল। সে যখন শুনিল, ব্রজেন্দ্র আসিয়াছে তখন সে যেন আকুলে কুল পাইল। তাহার পর রাত্রিৱতে স্বামীস্ত্রেীতে যখন সাক্ষাৎ হইল। তখন বিরজার আবার । ভাবনা উপস্থিত হইল-কেমন করিয়া কথাটা আরম্ভ করে। ব্রজেন্দ্র দেখিল; বিরাজার প্রফুল্প মুখে একটু ভাবনায় অন্ধকার লাগিয়া রহিয়াছে। সে জিজ্ঞাসা করিল, “কি ভাবিতেছ? পিত্রালয় হইতে যাইতে হইলেই বুঝি দুঃখানুভব হয় ?” ” “ । विद्रखी ठिण, “ठांश 6ऊांभद्र कि বুঝিবে " “কোন শ্বাশুড়ীকে বুঝি বড় ভয় করে ?”