পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ).pdf/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sir ख्षांपैांदॐ ॥ ৩য় বর্ষ- ১ম সংখ্যা । প্রতীক্ষা করিতে করিতে ঘুমাইয়া পড়িয়াছিল,-তাহার নিদ্রা গাঢ় হয় নাই, অধরে অধরস্পর্শে, মুখে তপ্ত শ্বাসম্পর্শে সে জাগিয়া উঠিল। জাগিয়া বিরজা চক্ষু মেলিল না-আপনার অধরে স্বামীর অধর স্পর্শে সে সুখানুভূতি কি মধুর! সেই অনুভূতিতে তাহার শিরায় শিরায় যেন পুলক প্রবাহ প্রবাহিত হইতে লাগিল-তাহার হৃদয় যেন উল্লাসে উৎফুল্ল হইয়া উঠিল। ব্রজেন্দ্র উঠিকরে উদ্যোগ করিলে সে নয়ন মেলিল। ব্রজেন্দ্র জিজ্ঞাসা করিল, “ঘুমাও নাই ?” h বিরাজা বলিল, “ই । ঘুম ভাঙ্গিয়া গেল। তোমার আসিতে এত বিলম্ব হইল কেন ?” “একজন পুরাতন বন্ধু আসিয়াছিলেন। তিন চারি বৎসর পরে সাক্ষাৎকথায় কথায় রাত্রি হইয়া গেল।” “তিনি কলিকাতায় থাকেন না ?” “না। বিহারে কলেজে অধ্যাপক। ইনি এফ. এ. পরীক্ষায় একজন । পরীক্ষক ; ছেলেদের প্রশ্নোত্তর পরীক্ষা করেন।” মুহূর্ত্ত নীরব থাকিয়া ব্রজেন্দ্র বলিল, “যতীশ ভায়ার কাগজ ইহঁর নিকট পরীক্ষার্থ প্রেরিত হইয়াছিল।” বিরাজা সাগ্রহে জিজ্ঞাসা করিল, “যতীশ পাশ হইয়াছে ?” ব্রজেন্দ্র বলিল, “না। আমি পূর্বেই ইহঁাকে পত্র লিখিয়াছিলাম। আজি ইনি আমাকে বলিয়া যাইলেন-যতীশ পাশা হইতে পারে নাই।” বিরজার মুখ গম্ভীর হইল। তাহার আশঙ্কা হইল-লোক বলিবে नब्राक्रांद्र অদৃষ্টেই সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইতে পারিল না। এমন অকারণঅন্যায় উক্তি লোক করে তাহা সে জানিত । কিন্তু বিরজা ব্রজেন্দ্রের আশঙ্কার ও উদ্বেয়ের স্বরূপ জানিত না। শ্বশুরালয়ে বিরজার নিকট যতীশচন্দ্রের সহচরদিগের কথা শুনিয়া আসিয়া সে তাহদের সম্বন্ধে সংবাদ লইতেছিল। বাহিরে তাহার ঘনিষ্ঠ পরিচিতের সংখ্যা অধিক ছিল না। সে অধ্যয়ন লাইয়া ধ্যস্ত থাকিত-গৃহই তাহার জীবনের কেন্দ্র ছিল। কাযেই সে সহজে সে সংবাদ পায় নাই। কিন্তু ক্রমে যে সংবাদ সে জানিতে পারিয়াছিল, তাহাতে তাহার আশঙ্কা অত্যন্ত বন্ধিত হইয়াছিল। সে জানিতে পারিয়াছিল - :স্বতীশচন্দ পাঠে যেরূপ অমনোযোগী তাহাতে তাহার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের