পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ማ፲ቕ, So>ቅ ! অদৃষ্ট-চক্র । ৬৯৭ তবে স্পষ্টই বুঝিতে পারিত, অমূল্য চরণের ব্যবহারে সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটিয়াছে। পূর্বে অমূল্যচরণ তাহার জন্য বেরূপ ব্যস্ততা দেখাইত এখন তাহার ব্যবহারে সে ভাবের অভাব লক্ষিত হইতে লাগিল। ধারণীধরের উইলের নির্দেশ শুনিয়া এবং সেই উইল সম্বন্ধে রমাপ্রসাদের ও ভবদেবের মত জানিয়া অমূল্যচরণ বুঝিয়াছিল, আর যতীশচন্দ্র হইতে কোন লাভের সম্ভাবনা নাই। বরং এতদিন সে যে তাহারই আশায় অন্য আশ্রয়ের সন্ধান করে নাই সে জন্য সে আপনার নির্বদ্ধিতায় আপনি লজ্জিত ও যতীশচন্দ্রের উপর বিরক্ত হইতেছিল। কিন্তু যতীশচন্দ্র কপট বন্ধুর ব্যবহারের পরিবর্তন লক্ষ্য করিতেছিল না ; সে কেবল ভাবিতেছিল। সে ভাবনার অন্ত নাই। সে এখন কি করিবে ? এতদিন পর্য্যন্ত সে কিছুমাত্র উপাৰ্জন করিতে পারে নাই-ঋণে ও পিতামহীর সাহায্যে সংসার চলিয়াছে। এমন-তাহার অবস্থা জানিলে কে তাহাকে ঋণ দিবে ? পূর্বের ঋণ শোধ করিবার ও সংসার চালাইবার উপায় কি ? সে ভাবিয়া কিছুই স্থির করিতে পারিতেছিল না। ক্রমে ট্ৰেন কলিকাতায় পৌছিল। যতীশ গৃহে উপস্থিত হইলেইঅমূল্যচরণ বিদায় লইয়া গৃহে চলিয়া গেল। যতীশচন্দ্র সেই দিনই শানগর যাত্রা করিল।