পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাস্তুন, ১৩১৯ ৷৷ অদৃষ্ট-চক্র । ዓdrዓ “ভাল। আমার যে গহনা আছে ; তুমি কাল সেগুলি বেচিয়া ফেল-প্রায় দেড় হাজার টাকা পাইবে। আর দিদিরও ত গহনা আছে-আমি তঁহাকে লিখিতেছি।” যতীশচন্দ্র ঠিক বুঝিতে পারিল না—জিজ্ঞাসা করিল, “কাহাকে ?” কল্যাণী বলিল, “ইচ্ছাপুরে দিদিকে।” “সে কি ?” “তুমি রমণীকে চিন না। তুমি যাহাঁই করা, তুমি তাহার স্বামী। তোমার বিপদ শুনিলে তিনি কিছুতেই স্থির থাকিতে পরিবেন না। আর আমি ঠাকুরমা’র কাছে তঁহার কথা যাহা শুনিয়াছি—তাহাতে আমি নিশ্চয় বলিতে পারি, আমি সব কথা লিখিলে তিনি র্তাহার যথাসর্ব্বস্ব দিতে দ্বিধা করিবেন না ।” যতীশচন্দ্র ভাবিতে লাগিল। বাস্তাবক সে রমণীকে চিনে না। রমণীর এই কল্যাণী মূর্ত্তি সে তাহার স্বার্থসঙ্কুচিত চিত্তে বুঝি ধারণাও করিতে পারে না ? রমণীর এই আত্মত্যাগ বুঝি তাহার কল্পনার অতীত। তাহার দুই চক্ষু অশ্রুতে পুর্ণ হইয়া আসিল। আর সে মনে এক অপূর্ব্ব শান্তির আনন্দ অনুভব করিল। যাহার ভাগ্যে এরূপ পত্নীলাভ ঘটে, তাহার জীবন অভিশপ্ত হইতে পারে না। যাহার অম্বালা खूऊांक्षेत्रांब এমন স্থান আছে, তাহার কিসের দুঃখ ? তাহার অবসন্ন হৃদয়ে যেন নূতন শক্তি সঞ্চারিত হইল ; সে যে সংসার-সংগ্রামে আপনার পরাজয় ও পতন অনিবার্য্য বোধ করিতেছিল- তাহার মনে হইতে লাগিল, সেই সংসার-সংগ্রামে তাহার জয় হইবেই। সে হৃদয়ে যে শক্তি অনুভব করিল সে শক্তি বিশ্বাসসঞ্জাত । আজ তাহার মনে হইল, রমণী সত্য সত্যই শক্তিরূপিণী। এ কথা যে না বুঝে, সে সংসারমরুভূমিতে কেবল মৃগতৃষ্ণিকার অনুসরণ করিয়া শ্রান্ত-ক্লান্ত অবসন্ন হইয়া শেষে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। আর যে ইহা বুঝিতে পারে, সে জয়ী হয়—সুখী হয়। O কিন্তু যতীশ কিছুতেই কল্যাণীর অলঙ্কার লাইতে চাহিল না ; বলিল, “আমার একখানি অলঙ্কার দিবার ক্ষমতা নাই। আর আমি তোমার সম্বল নষ্ট করিব ? সে কিছুতেই হুইবে না।” কল্যাণী তাহাকে অনেক বুঝাইল ; বলিল, “তুর্ভাবনায় তোমার শরীর ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে তোমার-মনে সুখ নাই। তোমার শরীর-তোমার, সুখ DDDSYLD DBDB BDBB S DDD S SBD D S BDB BDS BB DDD ܘܚ-ܠ