পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ĉ5, SOYD I অলবেরুণীর ভারত-বিবরণ । yrk ത്ത সন্তান ভূমিষ্ট হইলে হিন্দুগণ পুত্রের প্রতি বিশেষ মনযোগ প্রদর্শন করে ; কিন্তু কন্যার প্রতি করে না। সন্তানের মধ্যে তাহারা, বিশেষতঃ দেশের পুর্বাঞ্চলুের লোকরা, পুত্রকে অধিক আদর করে। করমর্দনের সময় তাহার। হস্তের পশ্চাদিক ধারণ করে। হিন্দুগণ গৃহ প্রবেশের সময় অনুমতি প্রার্থনা করে না,কিন্তু গৃহ পরিত্যাগকালে অনুমতি গ্রহণ করিয়া থাকে । সভাসমিতিতে তাহারা এড়োএড়ি ভাবে পা রাখিয়া উপবেশন করে । তাহারা উপস্থিত গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধা-প্রদৰ্শন না করিয়া নিষ্ঠীবন পরিত্যাগ করে ও নাসিক বাড়ে । তাহারা তন্তুবায়দিগকে অপবিত্র মনে করে, কিন্তু যে চর্ম্মকারগণ অর্থের জন্য মরণোন্মুখ জন্তুদিগকে জলে নিমগ্ন করিয়া অথবা দগ্ধ করিয়া বিনষ্ট করে-তাহাদিগকে পবিত্র জ্ঞান করে । বিদ্যালয়ে বালকদিগের জন্য কৃষ্ণবর্ণ লিখিবার পাত্র ব্যবহৃত হয় এবং তাহার উপর বালকগণ এক প্রকার শাদা পদার্থ দ্বারা লিখিয়া যায়। তাহারা পুস্তকের নাম শেষে লিখে-প্রথমে নহে। অলবেরুণী তৎপরে হিন্দুদিগের প্রকৃতিগত “বিকৃত-স্বভাবের”কথার আলোচনা করিয়াছেন। অলবেরুণী বলিয়াছেন যে, মুসলমানাধিকৃত প্রদেশে সদ্য আগত এমন একটিও হিন্দু বালককে তিনি দেখেন নাই যে অধিবাসীদিগের আচারব্যবহারসম্বন্ধে সম্পূর্ণরূপে অভিজ্ঞ নহে ; কিন্তু তথাপি গুরুর সম্মুখে পাদুকাস্থাপনের সময় সে উটো পাল্টা করিয়া রাখে- বাম পদের সম্মুণে দক্ষিণ পদের ও দক্ষিণ পদের সম্মুখে বামপদের জুতা রক্ষা করিয়া থাকে । গুরুর পরিচ্ছদ ভাজ করিয়া রাখিবার সময় সে ভিতর দিকটা বাহির করিয়া রাখে এবং গালিচা এরূপভাবে বিস্তৃত করে যে, নিম্নভাগটা উপরের দিকে রক্ষিত হয়। এইরূপ অন্যান্য কার্য্যও সে করিয়া থাকে। এ সমস্তই হিন্দু দিগের প্রকৃতিগত “বিকৃত স্বভাবের” পরিচায়ক । অলবেরুণী বলেন যে, শুধু যে হিন্দুগণের এইরূপ স্বভাব তাহা নহে ; পরন্তু অসভ্য আরবদিগের মধ্যেও qश्क्रश शडांय है दन। অলবেরুণী মৃতদেহের অন্তষ্টিক্রিয়ার সম্বন্ধেও আলোচনা করিয়াছেন। অতি প্রাচীন কালে মৃতদেহ নগ্নাবস্থায় উন্মুক্ত প্রান্তরে বাতাসে নিক্ষিপ্ত হইত। রুগ্ন ব্যক্তিগণও প্রান্তরে এবং পর্বতে নীত হইয়া তথায়-পরিত্যক্ত