পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ե ՀԵ- আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ--১২শ সংখ্যা । বড় বধু বলিলেন, “আমার গতজন্মের পুণ্য ছিল, তাই তুমি তারাকে কলিকাতায় আনিয়াছিলে। মেজ বৌ তখন কত কথা বলিয়াছিল। আমিও বলিয়াছিলাম, -আখেরে কি হইবে ? আমি অন্যায় সহ্য করিতে পারি না ।” বামাচরণ বলিল, “বাবা কি ভাবিতেছেন ? পার্ব্বতীকে যজমানের কাযে রাখিয়াছেন ; তাহাই যথেষ্ট । আবার দেবীর ‘পরকাল’ নষ্ট করা কেন ?” বড় বধু অধর উণ্টইয়া বলিলেন, “কি জানি!” ভট্টাচার্য্য মহাশয় যে আখেরের ভাবনা ভাবিয়াই এ ব্যবস্থা করিয়াছিলেন, বামাচরণ তাহা বুঝিতে পারিল না। বড় বধ স্বামীর মতে মত দিলেন। তঁহাকে ইচ্ছাপুরে না। যাইতে হইলেই তিনি তুষ্ট । তিনি কাহারও ঘেঁস मछिgएङ 2igद्वान् न । বামাচরণ দেবীচরণকে বলিল, “তুমি বড় হইয়াছ, আপনার হিতাহিত বুঝিতে পার। এখন লিখাপড়া ছাড়িয়া দেওয়া কি ভাল বিবেচনা করি ? গ্রামের বিদ্যালয়ে চাকরীতে উন্নতির কোনও আশাই নাই। ভিটা কামড়াইয়া পড়িয়া থাকিবার জন্য কি ভবিষ্যৎ উন্নতির সব আশা পরিত্যাগ করিবে ?” দেবীচরণ বলিল, “বাবার ইচ্ছা, আমি বাড়ী যাই । কাযেই আমি বাড়ী যাইব । যদি কপালে না থাকে, কিছুতেই উন্নতি হইবে না। ব্রাহ্মণের LDBBSSSLDBDB gg DD DDDDS BBDDD S DB KBB SS BB DBDD বলিতেছেন, তাহা ত করিতেই হইবে।” বড় বধু বলিলেন, “ঠাকুর পো, বিবাহটি করিয়াছ ; দুই দিন পরে ছেলে হইবে । খরচ ত দিন দিনই বাড়িবে। ঘরে কতই আছে ?” দেবীচরণ হাসিয়া বলিল, “বড় বৌদিদি, বাবা তা ঐ যাহা কিছু আছে তাহা হইতেই আমাদের চার ভাইকে ‘মানুষ’ করিয়াছেন ; চার ভগিনীর বিবাহও দিয়াছেন ৷ কপালে যাহা থাকে হইবে। আমরা কেবল মন বুঝে না বলিয়া ব্যস্ত হই।” দেবীচরণ চলিয়া যাইলে বামাচরণ পত্নীকে বলিল, “আজিকালের ছেলেগুলা বড়ই “ডেপো” ; কথা কহে, যেন শাস্ত্র পড়াইতেছে। কত বিজ্ঞ ! সংসারের চাপ ঘাড়ে চাপুক, তখন বুঝিবেন-কত ধানে কত চাউল। তখন বুঝিবেন, অদৃষ্টের মুখ চাহিয়া বসিয়া থাকিলে চলে না। তখন বুঝিবেন,দাদার কথা। আপাততঃ তিক্ত হইলেও পরে মিষ্ট।”