পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অদৃষ্ট-চক্র । brՀ Տ | ܕ«�ܬܝ ,ܦ65 বড় বধু স্বামীকে বলিলেন, “তোমার যেমন ‘ভাই-অন্ত’ প্রাণ ; উহাদের ভাবনা ভাবিয়া ভাবিয়া দেহপাত কর । উহারা অন্যরূপ ভাবে ।” বামাচরণ অত্যন্ত গম্ভীর ভাবে বলিল, “আমার কাব্য আমি করি ; কেহ DDD BB DDD BDDBD DBDDB BBBBDB Du DDD DDSS বড় বধু বলিলেন, “তাহা ত বটেই।” বামাচরণ ভাবিল, তাহার পত্নী সত্য সত্যই তাহাকে স্বার্থত্যাগী মনে করে। বড় বধু মনে মনে হাসিলেন, তিনি স্বামীকে বিশ্বাস করাইয়াছেন, তিনি তাহার প্রকৃতির স্বরূপ জানেন না । দেবীচরণ গৃহে আসিল । ভট্টাচার্য্য মহাশয় তাহাকে সংসারের কাষ শিখাইতে লাগিলেন। যজমানগৃহে তাহার গতায়াত ক্রমেই কমিয়া আসিতে লাগিল । এসকল ব্যবস্থার কারণ বিরজা বুঝিল । দুঃখের মত শিক্ষক আর নাই ? তাহারই শিক্ষকতায় বিরজা সংসার চিনিয়াছিল ; সে আশা অপেক্ষা আশঙ্কাই অগ্রে দেখিত । সে দেখিতেছিল, জরায় ও দুর্ভাবনায় পিতার স্বাস্থ্য নষ্ট হইতেছিল। সে বুঝিতেছিল, পিতার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই সংসার ভাঙ্গিয়া যাইবে । সে শঙ্কিত ও চিন্তিত হইতেছিল । সে আশঙ্কা তাহার। আপনার জন্য নহে ; সে ভাবনা অপরের জন্য । সে জানিত, পিতৃবাক্ষচু্যত হইলেও তাহার আর এক আশ্রয় আছে। সে আশ্রয়ও স্নেহস্নিগ্ধ। পিতৃবিক্ষে থাকিয়াও তাহার মন মধ্যে মধ্যে শাশুড়ীর জন্য ব্যাকুল ঠাইত । জীবনের সায়াহে, তিনি নিঃসঙ্গ প্রবাসে রহিয়াছেন । সে কেন তাহার নিকট থাকে না ? বিশেষ বারাণসী বাস-সে-ই ৩ ৩াহার পক্ষে স্পাহনীয়। সে ভাবিত পিতার সংসারের জন্য ; সে কাদি ৩ সরোজার জন্য । সে বুঝিােত, পিতার অবর্ত্তমানে সে সরোজাকে ছাড়িয়া কোথাও যাইতে পরিবে না-মাতৃহীনা ভগিনীর রক্ষণাবেক্ষণের ভার যে তাহার। মানুষের হৃদয় একটা অবলম্বন নাহিলে থাকিতে পারে না-সে একটা কিছু আঁকড়িয়া ধরিয়া হৃদয়ের শূন্তাভাব দূর করিতে চাহে। প্রেম ও মেহ রমণীর পক্ষে একান্তই স্বাভাবিক। পতিপ্রেমবঞ্চিতা-অপত্যস্নেহস্বাদ-সুখহীন বিরজার হৃদয় দুঃখিনী ভগিনীকেই জড়াইয়া ধরিয়াছিল। সে জননীর ভালবাসা ও জননীর মোহ-সবই সরোজাকে দিয়াছিল। আর সে যতই তাহার বিপদের সম্ভাবনা দেখিতেছিল, তাহার হৃদয় যেন ততই তাহাকে সাগ্রহে নিবিড় ভাবে মেহবন্ধনে বদ্ধ করিয়া সকল বিপদ হইতে OS)