পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b» S, আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বৰ্ন-২য় সংখ্যা । ও তদ্ধর্ম্মে শিষ্যগণকে দীক্ষিত করিয়া থাকেন। আপনি বলেন, জীব কোন প্রকার কার্য্যের ফলাফলের ভাগী নহে ; কারণ, সকল বস্তুর অনিত্যতা ও নিৰ্বাণই আপনার মতে মূখ্য পদার্থ। আমি এতদূসম্বন্ধে আপনার উপদেশ লাভ করিবার নিমিত্ত আগমন করিয়াছি, এক্ষণে আমার বাসনা পূর্ণ হইলে জীবন সার্থক বিবেচনা করিব।” শাক্যমুনি সিংহের মনের অবস্থা বুঝিতে পারিয়া কহিলেন, “সিংহ, আমি তোমার সত্যানুসন্ধান দেখিয়া অতিশয় প্রীত হইয়াছি। প্রত্যুত আমি যে কর্ম্মের ফলাফল স্বীকার করি না। এরূপ নহে। তবে যে সমুদায় কার্য্য করিলে, কিম্বা যাহার আলোচনা করিলে অথবা চিন্তা করিলে মনের হীন প্রবৃত্তিসমূহ উত্তেজিত হইয়া উঠে, আমি সেই সকল কার্য্য অন্যায় বলিয়া বিবেচনা করিয়া থাকি ও তৎসমুদায় নিবারণার্থে যথাসাধ্য প্রয়াস পাইয়া থাকি। আমি স্বার্থ ও মোহ দূরীকরণার্থ লোককে শিক্ষাদান করিয়া থাকি। যাহাতে পাপপ্রবৃত্তি মন হইতে একেবারে দূরীভূত হয় ও তদুপরিাবর্তে সত্য, মৈত্রী, করুণা, মুদিত প্রভৃতি সদগুণরাজি বৰ্দ্ধিত হয়, তদৃবিষয়ে আমি লোককে উপদেশ দান করিয়া থাকি। যে সমুদায় কার্য্যের আলোচনা অথবা চিন্তা করিলে মানসিক সৎপ্রবৃত্তিসমূহের উৎকর্ষ সাধিত হইয়া থাকে। আমি তৎসমুদায়ের যথেষ্ট পোষকতা করিয়া থাকি এবং সেই ধর্ম্মেই আমি শিষ্যদিগকে দীক্ষিত করি । এই প্রকার উপদেশ প্রতিপালন করিলে মনের কুপ্রবৃত্তি নিচয় ভস্মীভূত হইয়া যায় এবং নরনারীগণ নির্বাণের সোপানে আরোহণ করিতে সমর্থ হয় ।” সিংহ তথাগাতের সুমধুর উপদেশ শ্রবণ করিয়া আনন্দে রোমাঞ্চিত কলেবর হইলেন এবং পরে কথঞ্চিৎ প্রকৃতিস্থ হইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে কহিতে লাগিলেন, “দেব, আর একটি সন্দেহ এখনও আমার অন্তঃকরণে জাগারুক রহিয়াছে। আপনি সেইটির নির্যাকরণ করিলেই আমি কৃতার্থ হইব ।” ভগবান সুগত ৰালিলেন, “তাহাই হইবে । তোমার মনোগত ভাব নিঃসঙ্কোচে প্রকাশ করা, আমি তোমার সংশয় দূরীভূত করিতেছি।” সিংহ তখন বলিতে লাগিলেন, “দেব, আমি একজন সৈন্যান্ধ্যক্ষ । আমাকে রাজ-আজ্ঞানুসারে তৎপ্রতিষ্ঠিত নিয়মাবলী দেশমধ্যে প্রচলিত করিতে হয় ও সময়ে সময়ে শক্রহস্ত হইতে দেশ রক্ষা করিবার নিমিত্ত যুদ্ধে প্রবৃত্ত হইতে হয়। যখন করুণা ও মুদিতা আপনার ধর্ম্মের প্রধান অঙ্গ তখন