পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tሙ8 . আর্য্যবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ- ২য় সংখ্যা । হইতে হিংসানাল দূরীভূত করিয়া পদদলিত শক্রকে স্বহস্তে উত্তোলিত করিয়া তাহার সহিত পুনরায় সখ্যস্থাপন করে, তাহা হইলেই যে প্রকৃত জয়ী। কারণ, আত্মজয়ীই যথার্থ জয়ী। ইন্দ্রিয়ের বশীভূত ব্যক্তি অপেক্ষা ইন্দ্রিয়বিজয়ীই প্রকৃত বীর । যিনি মোহের বশীভুত নহেন, জীবন-সংগ্রামে তাহার কখনই পতন নাই। সিংহ, বীরবিক্রমে এই সত্য প্রচার কর, এই মন্ত্রে দীক্ষিত হইয়া জীবন-সংগ্রামে প্রবৃত্ত হও, ইহাতে তথ্যাগতের আশীदर्ता व्ाख्छ कुद्धिाहद ।' সিংহ আনন্দে রোমাঞ্চিত কলেবর হইয়া কহিতে লাগিলেন, “দেব, আপনিই প্রকৃত মহৎ । আপনিই সত্য পথ আবিষ্কার করিতে সমর্থ হইয়াছেন। আপনিই যথার্থ বুদ্ধ ও তথাগত । আপনিই একমাত্র লোকগুরু ও শিক্ষাদাতা । আপনিই নরনারীর জ্ঞানচক্ষু উন্মলিত করেন । আমি আপনার শরণা লইলাম। আপনি অনুগ্রহ করিয়া আমাকে শিষ্যত্বে গ্রহণ করিয়া সঙ্ঘে যোগদান করিতে অনুমতি করুন ।” তথাগত কহিলেন, “সিংহ, তুমি ষে কার্য্য করিতে উদ্যত হইয়াছ, তাহা তুমি প্রথমে বিশেষরূপ বিবেচনা করিয়া দেখ। কারণ, পূর্বাপর বিশেষরূপে বিবেচনা না করিয়া তোমার ন্যায় কৃতিবিদ্য ব্যক্তির কোন কর্ম্মে হস্তক্ষেপ করা উচিত নহে ।” এই কথা শুনিয়া ভগবানের প্রতি সিংহের ভক্তি এবং বিশ্বাস আরও দৃঢ় হইল। তিনি বলিলেন, “দেব যদি অন্য কোন ব্যক্তি আমাকে অদ্য শিষ্যরূপে লাভ করিতে পারিতেন, তাহা হইলে তিনি নিঃসন্দেহ দেশমধ্যে রাষ্ট করিয়া দিতেন যে, সেনাপতি সিংহ আমার শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়াছে। কিন্তু আমি দেখিতেছি, আপনি শিষ্যত্বে যোগদান করিতে আমাকে প্রতিবন্ধকতা প্রদান করিতেছেন । এক্ষণে আমি আর এক মুকুর্ত্ত বিলম্ব কবিতে পারিতেছি না। আপনি দয়াপরবশ হইয়া অনতিবিলম্বে আমাকে শিষ্যত্বে গ্রহণ করিয়া চরিতার্থ করুন।” তথাগত বলিলেন, “বহুকালাবধি তোমার গৃহে নিগ্রস্থসেবা হইয়া থাকে । অতএব ভবিষ্যতেও যখন নিগ্রন্থগণ তোমার গৃহে ভিক্ষার্থ আগমন করিবেন, তখন তঁহাদিগকে যথোচিত ভিক্ষাদান করিয়া পরিতুষ্ট করিবে ।” সিংহের অন্তঃকরণ ইহাতে আনন্দে পূর্ণ হইল। তিনি বলিলেন, “দেব, আমি শুনিয়াছি, শ্রমণ গৌতম না কি বলিয়া থাকেন, কেবলমাত্র আমাকেই